বাগেরহাটে পূজা দেখে বাড়ি ফেরার পথে তরুনী গনধর্ষণ, ইউপি সদস্য আটক

প্রকাশিত: ৮:৩৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৮, ২০২০

মোঃমাসুদ পারভেজ, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ

বাগেরহাটে পূজা দেখে বাড়ি ফেরার পথে ২২ বছর বয়সী এক গার্মেন্টস কর্মী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় শেখ মিজানুর রহমান (৩৫) নামের এক ইউপি সদস্যকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ওই তরুনীর শ্লিলতাহানীর অভিযোগে আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরের দিকে বাগেরহাট সদর উপজেলার বাকপুরা ও হদেরহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার শেখ মিজানুর রহমান বাগেরহাট সদর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য এবং বাকপুরা গ্রামের আব্দুল মজিদ শেখের ছেলে।

সোমবার (২৬ অক্টোবর) রাতে পৈশাচিক এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) ভিকটীম বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন। এদিন বাগেরহাট সদর হাসপাতালে তার ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।

শ্লিলতাহানীর অভিযোগে গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার চিন্তারখোড় গ্রামের অমল মৃধার ছেলে বিকাশ মৃধা(১৯), নারায়ন চন্দ্র সরকারের ছেলে সুকান্ত সরকার (৩২), অসীম বিশ্বাসের ছেলে বিধান বিশ্বাস (২৮) এবং আনোয়ার ফকিরের ছেলে সোহেল ফকির(২৩)।

নির্যাতনের শিকার ওই তরুনী মামলায় উল্লেখ করেন, সোমবার বিকেল থেকে বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন মন্ডপে পূজা দেখে যাত্রাপুর বাজারে হালকা নাস্তা করে রাতে ভ্যানযোগে বাড়ি রওনা দেয়। রাত দশটার দিকে বাকপুড়া মোড়ে পৌছালে ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান এত রাতে কোথা থেকে আসছিস বলে ভ্যান থেকে তাকে নামিয়ে রাখে।

ভয়ভীতি দেখিয়ে বাকপুড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নতুন ভবনের পিছনে নিয়ে ধর্ষণ করে ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান।

পরে রাত পৌনে ১২ টার দিকে ওই তরুনীকে চিন্তিরখোড় এলাকায় রেখে চলে যায় মিজান। মেয়েটি একা একা রাস্তাদিয়ে হাটতে থাকে। রাত ১২টার দিকে বিকাশ মৃধা, সুকান্ত সরকার, বিধান বিশ্বাস, সোহেল ফকিরসহ কয়েকজন হদেরহাট বাজারস্থ আবুল হোসেনের বিল্ডিংয়ের পিছনে নিয়ে তার শ্লিলতাহানী ঘটায়।

নির্যাতিত মেয়েটির বাবা-মা বলেন, এক বছর আগে আর্থিক কষ্টে মেয়েকে গার্মেন্টস এ কাজ করতে ঢাকায় পাঠাই। পূজার ছুটিতে মেয়ে বাড়িতে আসছিল। বন্ধুদের সাথে মা দূর্গাকে দেখতে যাওয়া-ই কাল হল আমার মেয়ের। আমাদের মেয়ের উপর পৈশাচিক নির্যাতনের বিচার চাই।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বলেন, মামলা দায়েরের পর আমরা তরুনীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছি। ধর্ষণের অভিযোগে ইউপি সদস্য মিজানুর রহমানকে এবং শ্লিলতাহানীর অভিযোগে আরও চারজনকে গ্রেফতার করেছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।




error: Content is protected !!