সম্পাদকীয়ঃ
সৈয়দ এম এ আর মাসুক,,
আমরা বাঙ্গালী কারণ বাংলা আমাদের মাতৃ ভাষা প্রতিটি বাঙ্গলী শিশু র্মাতৃ গর্ব থেকে ভুমিষ্ট হয়েই প্রথমে বাংলা ভাষাতেই তার অভিব্যাক্তি প্রকাশ করে। আর এই সূ-মিষ্ট র্মাতৃ ভাষা বাংলার সাথে অঙ্গাঙ্গি ভাবে জরিয়ে আছে একটি দিন ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রোয়ারী। একুশে ফেব্রোয়ারী প্রতিটি বাঙ্গালীর চেতনা ও প্রেরনার উৎস। এই প্রেরনাই আমাদের ধাবিত করেছে ৭১এর মুক্তিযোদ্ধের দিকে। একুশের ত্যাগ অপরিসীম তবে এ ত্যাগের মূল্যায়নও আমরা পেয়েছি। যে একুশ ২৩ বছর আগে কেবল বাঙ্গালী জাতির অহংকার ছিল এখন তা আন্তজাতিক র্মাতৃ ভাষা দিবস হিসাবে ছরিয়ে গেছে সারা বিশ্বে। একুশ এখন বিশ্বের অস্যংখ ক্ষুদ্র জাতিতে বিশ্রিত প্রায়। অবলুপ্ত প্রায় ভাষাকে অস্তিত্ব দিতে সহায়ক হবে। ইংরেজি ফরাসী স্প্যানিশ র্জামান প্রভৃতি ভাষা ওপনিবেশিক শাসনের সূযোগে বহুজাতির র্মাতৃ ভাষাকে গ্রাস করেছে-বিলুপ্ত হয়েছে তাদের নিজ্বশ্ব ভাষা ও সংস্কৃতি। ভাষার সাথে সংস্কৃতির সর্ম্পক্য জরিত। তাই ভাষা কে রক্ষা করতে না পারলে সংস্কৃতিকেও রক্ষা করা যাবে না। ভারত ভিবক্তের পর থেকেই তৎকালীন পাকিস্তানী শোষকেরা র্উদূ ভাষা কে একমাএ রাষ্ট্র ভাষার মর্যাদা দিয়ে সংখ্যাগরিষ্ট বাঙ্গালীর র্মাতৃ ভাষা বাংলা কে নিঃচিহৃ করার চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছিল। তাদের সেই হীন পরিক্লপনা সফল হলেও পৃথিবীর অসংখ্য র্মাতৃ ভাষার গোরস্থানে বাংলা ভাষারও কবর রছিত হত এবং সেই সাথে আমাদের জাতির মুক্তির আশারও অপমৃত্যু ঘঠত। কিন্তু প্রতিবাদী বাঙ্গালীর ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রোয়ারী ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ঢাকার রাজপথ উত্তপ্ত করে তুলেছিল। রাষ্টভাষা বাংলা চাই শ্লোগানে। তখন সরকারী রাইফেল গর্জে উঠল, গুলি বিদ্ধি হয়ে শহীদ হলেন সালাম রফিক বরকত জব্বার আরও অনেকে। সেদিন ৫২এর ২১শে ফেব্রোয়ারীতে এদেশের মাটিতে পাকিস্থানীদের কবর খোড়া হয় আর তার দাপন সম্পন্ন হয় ৭১এর ১৬ই ডিসেম্ভর। বাঙ্গালীর র্মাতৃ ভাষার অধিকার আদায়ের আন্দোলন সংগ্রাম স্বরণে পালিত মহান এ একুশে ফেব্রোয়ারীকে আর্ন্তজাতিক র্মাতৃ ভাষা দিবস ঘোষনার প্রস্তাব ছিল বাংলাদেশের। তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকারের সময়োচিত দ্রত সিদ্ধন্ত ও শেখ হাসিনার দৃড় কুটনৈতিক প্রচেষ্টায় প্যারিসের বাংলাদেশ দূতাবাসের বিচক্ষন তৎপরতায় এ প্রস্তাব পূরণে অধীকাংশ কৃতিত্বের দাবীদার। ১৯৯৯ সালের ২৬শে অক্টোভর থেকে ১৭ই নভেম্ভর পর্যন্ত ইউনেস্কোর ৩০তম দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সম্মেলন প্যারিসে অনুষ্টিত হয়। সম্মেলনের উদভোধনী সেশনে আমাদের শিক্ষামন্তী এ এইচ কে ছাদেক বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বাংলা ভাষাকে আর্ন্তজাতিক র্মাতৃ ভাষা দিবস হিসাবে ঘোষনা প্রস্তাব দেন। যা ২৮টি দেশের লিখিত সর্মতনের মাধ্যমে উপস্তাপিত হয়। পরবর্তীতে ১৭ই নভেম্ভর ইউনেস্কো র্কতৃক প্রস্তাবটি আনুষ্টানিক ভাবে গৃহিত হয়। মহান ভাষা দিবষ আর্ন্তজাতিক র্মাতৃ ভাষা দিবস হিসাবে স্বীকৃতি পাবার পর। বাংলা ভাষার প্রতি আমাদের দ্বায়-দ্বায়িত্ব অনেক বেরে গেছে। আমাদের গর্ভ বাংলা ভাষার মাধ্যমে শিক্ষা সংস্কৃতি এবং আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান র্চচা আরও বিস্তৃতি লাভ করতে পারে সে ব্যাপারে আমাদের সচেষ্ট হতে হবে। আর তা যদি আমরা করতে পারি তবেই বিশ্বব্যাপী যে স্বীকৃতি আমারা পেয়েছি তার যর্তাথ মূল্যায়ন হব।