বৃটিশ আমলের ভাঙ্গাচুরা টিনের ঘরে ডাকঘর উপ-বিভাগীয় কার্যালয় নোয়াখালীতে।

প্রকাশিত: ৭:৫৪ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৫, ২০২১

মোঃইব্রাহিম নোয়াখালী প্রতিনিধি।
চৌমুহনীতে অবস্থিত বাংলাদেশ ডাক বিভাগের নোয়াখালী উত্তর উপ-বিভাগীয় কর্মকর্তার কার্যালয় হিসাবে ব্যবহার করে আসছে বৃটিশ আমলে নির্মিত একটি ভাঙ্গাচুরা টিনের ঘরে। এতে একদিকে বৃষ্টির সময় পানি পড়ে রেকর্ডপত্র নষ্ট হচ্ছে, অপর দিকে প্রায় সময় ঘর কেটে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র চুরি হচ্ছে।
ডাক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চৌমুহনী শহরের ব্যস্ততম স্থান রেলওয়ে স্টেশনের পশ্চিমে বৃটিশ আমলে টিন কাঠ দিয়ে উপ-ডাকঘর [এলএসজি] ও নোয়াখালী উত্তর উপ- বিভাগীয় কর্মকর্তার কার্যালয় নির্মান করে কার্যক্রম আরম্ভ করে। পাক আমলে ডাকঘরটি পাকা ভবন করলেও উপ-বিভাগীয় কার্যালয়টি টিনের রয়ে যায়। দীর্ঘ বছরেও উপ-বিভাগীয় কার্যালয়টি পাকা ভবন না করায় বা বড় ধরনের কোন সংস্কার না করায় বর্তমানে ঘরটির অবস্থা এতই জারাজীর্ণ হয়ে পড়েছে হাত দিয়ে টান দিলে টিন কাঠ বেড়া খুলে আসে। ইতিমধ্যে ঘরের অর্ধেক ভেঙ্গে পড়েছে। যা কিছু আছে বৃষ্টির সময় পানি পড়ে রেকর্ডপত্র নষ্ট হচ্ছে। প্রায় সময় চোর ঢুকে জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছে। অতি সম্প্রতি চোর ঢুকে ই এম টি এস এর ৫টি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে নোয়াখালী উপ-বিভাগের কর্মকর্তা রুবেল চন্দ্র মজুমদার এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, অত্র উপবিভাগের অধীনে ৭০ টি উপ ডাক ঘর, শাখা ডাকঘর,ডেলিভারী, নন ডেলিভারী, ইডিবিও ,ইডিএসও সম্পূর্ন তদারকি করতে হয়। তাছাড়া পেনশন, মৃত দাবী মামলা,চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী নিয়োগ বদলি, ডাক আদান প্রদান, শতাধিক ই- সেন্টার তদারকি করতে হয়। অথচ ভাঙ্গাচুরা টিনের ঘরটিতে দাপ্তরিক কাজ করা সম্পূর্ন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির সময় অনবরত পানি পড়ে রেকর্ডপত্র নষ্ট হচ্ছে। চোর ঢুকে প্রায়ই চুরি হচ্ছে। ইতিমধ্যে অফিসের আলমারির তালা ভেঙ্গে ই এম টি এস এর ৫টি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করা হলেও চোর ধরা বা চুরি যাওয়া মোবাইল উদ্ধার করা হয়নি। অফিসের অবস্থা সর্ম্পকে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট অনেক দিন থেকে জানানো হচ্ছে। কিন্তু এ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।




error: Content is protected !!