মহিপুরে ভূমিদস্যু চোরা আলমগীরের বর্র নিযার্তনে অতিষ্ট এলাকাবাসী ॥

প্রকাশিত: ২:১০ অপরাহ্ণ, জুন ৫, ২০২১

রাসেল কবির মুরাদ,পটুয়াখালী প্রতিনিধি ঃ মহিপুরের নামকরা
ভূমিদস্যু চোর, পতিতা বৃত্তি ও নারী পাচার কারী সিন্ডিকেটের মূল হোতা
মো: আলমগীর ওরফে (চোরা আলমগীর)। মহিপুরের স্থানীয় সাধরন মানুষের কাছে
আলমগীর নামটি অতি আতঙ্কের । আলমগীর শুধু ভূমি দস্যুই না তার পাশাপাশি
রয়েছে নানা অপকর্মের তালিকা। চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি সহ তার হাতে
ধর্ষণের শিকার হয়েছে অসহায় নারীরাও এমনই অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ২০১৪
সালের ০২ অক্টোবর রোজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত দৈনিক বরিশালের কাথা পত্রিকায়
প্রকাশিত এক নিউজে দেখা যায় যে তিনি ০২ পতিতা নারীসহ মহিপুর তদন্ত
কেন্দ্রের পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় এবং তার পাশাপাশি ওই একই পত্রিকায়
২০১৫ সালের প্রকাশিত এক নিউজে দেখা মিলে যে আলমগীর এখন ভূমিদস্যুর লিডার।
এমন কী তার হাত থেকে রেহাই পাননি কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা নরী পর্যটকরা।

কুয়াকাটার আলোচিত পর্যটক হয়রানি ও লুট মামলার অন্যতম আসামি এই আলমগীর।
এমনকি এসব কাজের পাশাপাশি সে ছাগল চুরির কাজও বাদ দেয়নি। যার প্রমাণ হলো
২০১০ সালের ৩০ এ আগষ্ট ৭নং লতাচপলী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য
মো: দেলোয়ার হোসেন এর এক সাক্ষরিত এক পত্রে দেখা যায় যাতে লেখা ছিলো বিগত
৩০.০৮.২০১০ইং: তারিখ রোজ সোমবার বিকাল ৪ টার সময় নাইউরীপাড়া গ্রাম
নিবাসী মৃত আফেজ উদ্দিন বেপারী এর পুত্র মো: জাফর বেপারী বাড়ির সামনে
ওয়াপদার ঢালে আলমগীর পিতা মোক্তারআলী সাং সুধীরপুর কাবুলি গাছের পাতা
দ্বারা ছাগলের সামনে ধরিয়া জাফর বেপারীর ৩ টি ছাগল চুরি করিয়া নিয়া
যাওয়ার পথে স্থানীয় লোকজননের কাছে ধরা পরিলে উত্তম মধ্যম দিয়া চোর
আলমগীরকে বিচারের জন্য আমাদের কাছে নিয়া আসেন।

স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে সালিশ বসালে উক্ত আলমগীর তাহার নিজের
দোষ স্বীকার করিয়া মাফ চাইলে তাহাকে করেকটি উত্তম-মাধ্যম দিয়ে ছেড়ে দেওয়া
হয়। তখন উক্ত আলমগীরের লিখিত মুচলেকা নিয়া ২ জন জামিনদার – জলিল হাং, পিং
আজাহার হাং সাং বিপিনপুর , আনোয়ার পিং দিলু চৌকিদার সাং সুধীরপুর নিকট
জামিন দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। সে অত্র এলাকায় চোরা আলমগীর হিসেবে খ্যাত।
এছাডাও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে সে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দ্বারা
নিরপরাধ লোকজনদেরকে অহেতুক হয়রানি করিয়া থাকে। যাতে করে তাহার অপকর্মে
কেউ বাধা না হয়ে দাড়ায়। তার প্রতিবেশীরা সার্বক্ষণিক তার বর্বরতার শিকার
হয়ে থাকেন। যার প্রমান হলো গত ০২.০৬.২০২১ ইং: দিবাগত রাতে তার এক
প্রতিবেশীর একটি ছাগলের বাচ্চা তার বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করলে সেটিকে
এলোপাতাড়ি পিঠান এবং লাথি মেরে ঘটনা স্থলে মেরে ফেলেন। যা জিজ্ঞেস করিলে
তিনি বলেন, এখন তো মাত্র একটা বাচ্চা মারলাম কেবল পড়ে আস্তে আস্তে সব গরু
ছাগল এবং হাস মুরগী মেরে ফেলবে এমন হুমকি দিয়েছেন তিনি। এমনকি এও বলেন যে
স্থানীয় শালিস ব্যাবস্থাসহ কোন আইনের তোয়াক্কা করেননা তিনি ।

তার বিরুদ্ধে এলাকার বহু মানুষ স্বাক্ষর দিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের
কাছে একটি রেজুলেশনও করেছেন। যার প্রমাণ হলো – মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদের
সাবেক চেয়ারম্যান আ: ছালাম আকনের স্বাক্ষরিত ও অত্র এলাকার সাধারণ
মানুষের স্বাক্ষর করা প্রত্যায়নপত্রটি ছিলো এরকম যে যে কলাপাড়া ৬ নং
খাপড়াভাঙ্গা যা বর্তমানে মহিপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত ৩ নং ওয়ার্ডের
সুধীরপুর গ্রাম নিবাসী মোক্তার আলী হাং:-এর পুত্র মো: আলমগীর তার স্বভাব
চরিত্র ভাল নহে। গরু চুরি, ছাগল চুরি, বাজারের দোকান চুরিসহ ভুযা রাবের
সদস্য পরিচয়ে নদীতে জেলেদের নিকট থেকে উৎকোচ গ্রহণ করা তার নেশা ও পেশা।
ইহা ছাড়া সে এলাকার নিরীহ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করে থাকেন।
এই আলমগীর কে সার্বক্ষণিক মহিপুর থানার আশেপাশে এবং ভেতরে বিভিন্ন তদবির
করতে দেখা যায়।

এ ব্যাপারে আলমগীর ওরফে চোরা আলমগীর এ প্রতিবেদককে বলেন, তার বিরুদ্ধে
সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন প্রতিপক্ষরা তাকে হেয়-প্রতিপন্ন করার জন্য
এসব মিথ্যা, বানোয়াট ও ভুয়া অভিযোগ করছে।




error: Content is protected !!