মহিপুরের খালের পানিতে পড়ে ভেঙ্গে যাওয়া সেতুটি পরিদর্শন করলো ইউএনও

প্রকাশিত: ১২:৪২ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি  :  মহিপুরে পিকআপ ভ্যানসহ একটি সেতু ভেঙ্গে খালের মধ্যে পড়ে গেছে। রবিবার দুপুরের দিকে লতাচাপলী ইউনিয়নের বড়হরপাড়া খালের উপর নির্মিত সাধুর ব্রিজ নামে পরিচিত ওই সেতুটি ভেঙে পড়ে। সোমবার দুপুরে সেই সেতু পরিদর্শন করলেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। এসময় তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী সাদিকুর রহমান, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি  কর্মসূচি (সিপিপি) লতাচাপলী ইউনিয়ন টিম লিডার মো. শফিকুল আলম, কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সাঈদ প্রমুখ। মানুষের চলাচলের জন্য জরুরী ভিত্তিতে একটি কাঠের সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ আয়রণ সেতুটি ভেঙে পড়ায় কুয়াকাটায় আগত পর্যটকসহ ৫ গ্রামের ১০ হাজার মানুষ খাল পারাপারে ভোগান্তিতে পড়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। পুরনো এই ব্রিজ নড়বড়ে হয়ে পড়েছে প্রায় দুই বছর আগে। তবুও সংস্কার করা হয়নি। গত বছর হঠাৎ একদিন ব্রিজটি কিছু অংশ ভেঙে পড়ে। এই ব্রিজ দিয়ে  প্রতিদিন লতাচাপলী ইউনিয়নের মম্বিপাড়া, নতুন বাজার, বড়হরপাড়া, পৌরঘোজা এবং স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ ১০ গ্রামের মানুষ চলাচল করে। কুয়াকাটায় অগত পর্যটকরা মিশ্রীপারা বৌদ্ধ মন্দির দেখতে যাওয়ার একমাত্র সহজ পথ ছিল এটি। ৮০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট চওড়া ব্রিজের সম্পূর্ণ অংশ ভেঙে খালে পড়ে আছে।

কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান বলেন, এক বছর ধরেই আমরা এই ভাঙা ব্রিজ পার হয়ে  যাওয়া আসা করি। তবে ব্রিজটি সম্পূর্ণ ভাঙার কারণে এখন যাতায়াতে অনেক সমস্যা হবে। ছাত্র-ছাত্রী স্কুলে যেতে অনেক সমস্যা হবে। চরম ভোগান্তিতে পড়বে অসুস্থ রোগীরা।

কলাপাড়া এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী সাদিকুর রহমান জানান, ব্রিজটি অপসারণ করে ওই খালের উপর একটি নতুন গাডার সেতু নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আপাতত একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হবে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সোমবার দুপুরে সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। এ সেতুটি অনেক দিনের পুরনো, যার কারণে এটি ভেঙে পড়েছে। পথচারীদের  সাময়িকভাবে চলাচলের জন্য একটি অস্থায়ী কাঠের সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ।




error: Content is protected !!