মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী কতৃক সেমি-পাকা ঘর উপহার পেয়ে খুশির মুখে হাসির ফোয়ারা ॥
রাসেল কবির মুরাদ,পটুয়াখালী প্রতিনিধি ঃ
কলাপাড়ায় মেয়ে আদুরীকে নিয়ে খুব স্বাচ্ছন্দে চলছিল খুশির ছোট একটি সংসার। হঠাৎ করে গত ঈদের আগের রাতে তার বসত ঘরটি অগ্নিকান্ডে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের জন্য দুযোর্গসহনীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের সেমিপাকা ঘর বরাদ্দ পেয়ে এখন
খুশির মুখে হাসির ঝিলিক। মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার সেমিপাকা ঘর বরাদ্দ পেয়ে সামান্য আয়ের এই নারীর মিলেছে মাথা গোজার ঠাঁই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কিছুদিন আগেও ছিলোনা খুশি আক্তার নামের এক নারীর মাথা গোজার ঠাঁই। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে গভীর রাতে আগুনে পুড়ে যায় তার বেঁচে থাকার শেষ সম্বল বসতঘরটি। স্বামীর বাড়িতে স্থান না পাওয়ায় ২০০৭ সালে বাবার বাড়িতে এসে আশ্রয় নেয় খুশী। সেখানেই বসবাস শুরু করে।এই জন্য বেঁচে নেয় হাঁস পালন। ইতোমধ্যে ঘর নির্মান প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন জন প্রসাশন মন্ত্রলয়ের অতিরিক্ত সচিব, বরিশাল
বিভাগীয় কমিশনার সহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। এ ঘরটিতে থাকছে রান্নাঘর, সংযুক্ত টয়লেটসহ অন্যান্য সুবিধা।
খুশি আক্তার লায়লা বলেন, ঘরটি আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর মনে হয়েছিল পৃথিবীতে আমার চেয়ে অসহায় আর কেউ ছিলনা। কোনোদিন কল্পনা করতে পারিনি আমি পাক ঘর পাবো। দোয়া করি আল্লাহতায়লা যেন প্রধান মন্ত্রীকে সুস্থ রাখেন। নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মো.নাসির মাহামদু বলেন, তার
বসতঘরটি আগুনে পুড়ে গেছিল। সে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার সেমিপাকা ঘর বরাদ্দ পেয়েছে। এখন তারা সুন্দর ও ভাল ভাবেই বসবাস করতে পারবে।কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন,মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এ উপজেলায় মোট ৪৫০ টি নির্মান করা হচ্ছে। বর্তমানে নির্মান কাজ চলমান