মেজর সিনহা হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া ৭ পুলিশ সদস্য ফিরে পাচ্ছেন চাকুরী।

প্রকাশিত: ১:১০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২২

উমার রাযী, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি-
মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলায় বেকসুর খালাস পাওয়া পুলিশের ৭ সদস্য চাকরি ফিরে পেতে এখন আর বাঁধা নেই। দীর্ঘ ১৮ মাস কারা ভোগে অনিশ্চিত দিন যাপনের পর সাথে পাবেন সাময়িক বরখাস্ত হয়ে কারাভোগের ১৮ মাসের বেতন-ভাতাও। তবে, এরজন্য আদালতের রায়ের কপিসহ তাদের সংশ্লিষ্ট মাধ্যমে আবেদন করতে হবে পুলিশ সদর দপ্তরে।

পুলিশের উর্ধতন একাধিক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশের বিধি মতে এসব সদস্য চাকরি ফিরে পাবেন (শর্ত সাপেক্ষে)। পদোন্নতিসহ অন্যান্য সুবিধাও পাবেন প্রয়োজনে।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী বাপ্পী শর্মা জানান, ফৌজদারী কার্যবিধি (সিআরপিসি) মতে খালাস পাওয়া ব্যক্তি চাকুরি ফেরত এবং বরখাস্ত থাকাকালিন বেতন দেয়ার বিধান রয়েছে। এক্ষেত্রে অবশ্য স্ব-স্ব বিভাগের নির্ধারিত বিধান রয়েছে। খালাস পাওয়া পুলিশ সদস্যরা পুলিশের বিভাগীয় আদালতের মাধ্যমে চাকুরিতে ফিরবেন। এটা না হলে পুলিশের এসব সদস্যের শ্রম আদালতসহ আইনের আশ্রয় গ্রহণের সুযোগও রয়েছে।

উল্লেখ্য যে, ২০২০ সালে ৩১ জুলাই রাতে মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন সিনহার বোন শারমিন শাহারিয়ার ফেরদৌস। মামলাটির তদন্ত দেয়া হয় র‌্যাবকে। তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জন অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযুক্ত পত্র দাখিল করা হয়। ৩১ জানুয়ারি ঘোষণা করা হয় রায়। এ রায়ে খালাস পেয়েছেন এপিবিএন’র ৩ সদস্যসহ ৭ জন। মুক্তিনামা মূলে এরা ওই দিন রাতেই কারামুক্ত হন।

কারামুক্ত বেকসুর খালাস পাওয়া সদস্যরা হলেন, পুলিশের সদস্য এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল-মামুন এবং আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্য এসআই শাহজাহান আলী, কনস্টেবল মোহাম্মদ রাজীব হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।




error: Content is protected !!