মোংলায় করোনা টিকা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

প্রকাশিত: ৮:৩৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২১

আলী আজীম,মোংলা থেকে:
করোনা টিকা পেতে মোংলার ৬টি পয়েন্টে চলছে নিবন্ধন কার্যক্রম। উপজেলা নিবার্হী অফিসারের কাযার্লয় এবং ৬টি ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেবা কেন্দ্রে খোলা হয়েছে এ টিকা নিবন্ধন কেন্দ্র। যে সব স্বাস্থ্য কর্মীরা আগ্রহীদের শরীরে টিকা পুশ করবেন ইতিমধ্যে তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে টিকা নিবন্ধন কার্যক্রম। মোংলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নিবন্ধিত মানুষের মাঝে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারী এ টিকাদান কর্মসূচী শুরু হবে। ফ্রন্টলাইনের প্রায় ১শ হাজার মানুষকে প্রথম দিনেই টিকা প্রদাণ কার্যক্রমের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পযার্য়ক্রমে দেয়া হবে সকলকেই। ইতিমধ্যে ৪ হাজার ৪শ ৪২টি টিকা এসেছে মোংলায়। যা রাখা হয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ারহাউসে। ৭ ফেব্রুয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকেই এ টিকাদান কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হবে। তবে কি পরিমাণ লোক এ পর্যন্ত টিকা পেতে নিবন্ধন করেছেন তার সঠিক পরিসংখ্যান জানাতে পারেনি স্থানীয় প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কতার্ ব্যক্তিরা। তবে প্রথম ধাপে সরকারী কর্মকতার্, মুক্তিযোদ্ধা, ডাক্তার-নার্স ও সাংবাদিকদের অগ্রাধিকার থাকছে টিকা প্রদাণে। আর সাধারণ জনগণের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে নিবন্ধনের বয়স ৫০ বছরের উর্ধে হতে হবে। তবে সরকারী কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, ডাক্তার-নার্স ও সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে বয়সের এ সীমার শর্ত প্রযোজ্য হবে না বলে জানিয়েছেন উপজেলা নিবার্হী অফিসার কমলেশ মজুমদার। তিনি বলেন, তারও ইচ্ছা রয়েছে মোংলায় সর্ব প্রথম করোনার এ টিকা নিতে। তিনি সাংবাদিকসহ সমাজের সকল মানুষকেই এ টিকা নিতে নিবন্ধন ও এ সেবা নেয়ার আহবাণ জানিয়েছেন। তবে অনেকেই এখনও জানেন না করোনা টিকার নিবন্ধন কেন্দ্র কোথায় কোথায় করা হয়েছে। সাধারণ লোকজন বলছেন, সরকারী হাসপাতালে কিংবা তার আশপাশে নিবন্ধন কেন্দ্র করা হলে সকলের জন্যই ভাল হতো। সাধারণ জনগণের দাবী সরকারী হাসপাতালেই করোনা টিকা নিবন্ধনের বুথ করার।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, করোনা টিকা নিয়ে এখনও সাধারণ মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। অনেককেই আগ্রহ দেখাচ্ছে আবার কেউ কেউ নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। তবে করোনা থেকে বাঁচতে টিকার বিকল্প নেই, তাই সকললেই আগ্রহী হওয়ার তাগিদ তার।
করোনা নিয়ে এখানকার মানুষের মাঝে শুরু থেকেই যেমন ভীতি পরিলক্ষিত হয়নি, তেমিন টিকা নিতেও আগ্রহ তাদরে মাঝে। যারা টিকা পেতে নিবন্ধন করছেন তার বেশির ভাগই সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী ও মুক্তিযোদ্ধা। বয়সের সীমাবদ্ধতার কারণে কম দেখা যাচ্ছে সাধারণ মানুষের নিবন্ধন সংখ্যা।




error: Content is protected !!