মাসুদ আলম চয়ন মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজারের ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় টিকাদান কার্যক্রম। প্রতিদিনই টিকা নিতে আসেন প্রচুর মানুষ। আজ তীব্র রোদ উপেক্ষা করেই ছিলো টিকা নিতে আসা মানুষের লম্বা লাইন।৪ ঘণ্টা রোদে দাঁড়ানোর পর কর্তৃপক্ষ তাদের জানালেন- ‘টিকা নেই।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে হাসপাতালের সামনে ছিলো লম্বা লাইন। ৩৩ থেকে ৩৪ ডিগ্রি তাপমাত্রার অসহনীয় গরমে ৪ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও টিকা পাননি প্রায় ৫ শত মানুষ।
টিকা নিতে আসা সামিয়া বেগম বলেন, সকাল ৯ টায় আমি আমার আম্মু ও ভাবিকে নিয়ে টিকা দিতে আসি।টিকা নেওয়ার এসএমএস পেয়েই এসেছি আমরা। টিকা নেওয়ার জন্য মহিলাদের লাইন হাসপাতাল থেকে শুরু হয়ে বাইরের মেইন রোড পর্যন্ত ছিলো। এত রোদের মাঝে আমার আম্মু দূর্বল হয়ে পড়েছেন। তারপরও চিন্তা করলাম টিকা দিয়ে দেই।টিকা নিতে আসা পুরুষদের লাইন আরও লম্বা ছিলো।
তিনি বলেন,অনুমানিক ১২টা ২০ মিনিটে পুলিশ বাঁশি দিয় বলে টিকা শেষ, আজ আর হবে না।এতে অনেকেই পুলিশের সাথে ঝগড়া করেন।এত রোদের মাঝে বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখেছেন, কিন্তু টিকা দেননি। এখন আমার বৃদ্ধ আম্মু অনেক কষ্ট নিয়ে বলছেন,আর টিকাই নিবো না।
টিকা নিতে আসা আরেকজন বলেন,তারা আমাদের এই ভাবে রোদে দাঁড় করিয়ে কেন টিকা দিতে পারবে না।তাদের উচিত ছিল যত জনকে টিকা দিবে ততোজনকেই দাঁড় করানো,বাকি সবাইকে শুধু শুধু অপেক্ষা কেন করালেন।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার জেলা সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ বলেন,টিকার ঘাটতি আছে।আমি গতকাল রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজনগর থেকে ১ হাজার টিকা আনিয়েছি।গতকাল ৮০০ এসএমএস গিয়েছে টিকা নিতে আসার জন্য। যারা এসএমএস পেয়েছে তারা টিকা পাওয়ার কথা।
সিভিল সার্জন আরও বলেন,টিকা কিছু ঘাটতি থাকলেও চিন্তার কোন কারণ নেই। ২-৩ দিনের মধ্যেই টিকা চলে আসবে।