রাজবাড়ীতে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বেশিরভাগ নাম মাত্র প্রার্থী হয়েছে
মিঠুন গোস্বামী রাজবাড়ীঃ
রাজবাড়ী জেলার রাজনীতি মুলত পাংশা উপজেলা থেকে শুরু হয়ে থাকে বলে প্রচলিত আছে। আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অন্যান্য উপজেলার তুলনায় পাংশা শহরসহ এ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল সরগরম হয়ে উঠছে।
চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন থাকায় অনেকটাই সুস্পষ্ট হয়ে গেছে রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদটি। এ ছাড়াও রাজবাড়ীতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত সাবেক অধ্যক্ষ এ কে এম শফিকুল মোর্শেদ আরুজ ছাড়াও ৪ জন প্রার্থী রয়েছে। এদের মধ্যে ভোটের দিক দিয়ে শতক ছাড়ানোর সম্ভাবনা অনেকটাই কম।
রাজবাড়ী জেলা পরিষদ নির্বাচনে পাংশা পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে ৩নং ওয়ার্ড গঠিত। এ ওয়ার্ডে সদস্য পদে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছে ১০জন। তবে এদের মধ্যে অনেকেই নাম মাত্র প্রার্থী হয়েছে।
পাংশা উপজেলা থেকে সদস্য পদের প্রার্থীরা হলেন- পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সদ্য সাবেক সদস্য উত্তম কুমার কুন্ডু, পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওহাব মন্ডল,পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংঠনিক সম্পাদক গোবিন্দ কুন্ডু, বাবুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাবুপাড়া ইউপি আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম সরোয়ার,লিজা হেলথ কেয়ারের ম্যানিজিং ডাইরেক্টর মোঃ নিজাম উদ্দীন,
বাহাদুরপুর ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির শাকিল, কসবামাজাইল ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ কামরুজ্জামান খান, কসবামাজাইল ইউপি আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সদ্য সাবেক সদস্য হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, মৌরাট ইউপি আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান মিয়া ও পাট্টা ইউপি কৃষক লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা লুলু।
সদস্য পদে দলীয় একক সিদ্ধান্ত না থাকায় অনেকেই ইচ্ছামত মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ ও দাখিল করেছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগ প্রার্থীর ভোটের মাঠে নিজেস্ব কোন ভোট নেই। কারো কারো কিছু ভোট থাকলেও শক্ত প্রার্থীর সাথে লিয়াজোঁ চালাচ্ছে।
পাংশা উপজেলায় ১৪৬ ভোটের মধ্যে ২ জন ভোটার মারা যাওয়ায় ১৪৪ ভোটার তাদের ভোট প্রয়োগ করবেন। যেহেতু এ নির্বাচনে সদস্য পদে প্রার্থীর সংখ্যা বেশি তাই নির্বাচিত হতে বেশি ভোটের প্রয়োজন হবে না। সেই দিক দিয়ে সদ্য সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য উত্তম কুমার কুন্ডু অনেকটাই এগিয়ে।
নাম প্রকাশ না করা সত্ত্বে অনেকেই বলেন, যেহেতু উত্তম কুমার কুন্ডু একবার সদস্য ছিলেন সেই ক্ষেত্রে তার অধিক সংখ্যক ভোট রয়েছে। এই নির্বাচনে সেই এগিয়ে। এছাড়াও আওয়ামীলীগের নীতিনির্ধারকদের সমর্থন রয়েছে।
তবে অন্য সদস্য পদের প্রার্থীরাও যার যার যাইগা থেকে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে এবারের নির্বাচনে সদস্য পদে ভোট পেতে অনেকেই টাকা বিনিময় করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।