রাতেই অনেকাংশ বিলীন মাছুয়াঘোনা হ্যাচারী রক্ষায় কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন
আসলাম পারভেজ, হাটহাজারী
অবশেষে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম মৎস্য প্রজননক্ষেত্র বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদী সংলগ্ন মা মাছের সংগৃহিত ডিম সংরক্ষণ ও রেণু ফোটানোর সরকারি হ্যাচারী মাছুয়াঘোনা কে হালদার ভাঁঙ্গন থেকে রক্ষায় কাজ শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন। রোববার সকাল থেকে স্থানীয় চেয়ারম্যান মোঃ শাহেদুল আলম উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনায় এ কাজে সার্বিক সহযোগিতা করছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহিদুল আলম, স্থানীয় চেয়ারম্যান শাহেদুল আলম , পৌরসভা নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ বেলাল আহমেদ খানের উপস্থিতিতে ভাঁঙ্গন স্থানে বাঁশ, গাছের খুঁটি দিয়ে বালু ভর্তি জিও ব্যাগের মাধ্যমে ভাঁঙ্গন রোধে কাজ চলছে। স্থানীয়রা ডিম সংগ্রহকারীর অনেকে এ কাজে অংশগ্রহন করেছেন। ডিম সংগ্রহকারীসহ সবার একটাই লক্ষ্য মাছুয়াঘোনা হ্যাচারীকে রক্ষা করা। তারা জানান, ৪/৫ দিন পরেই পুর্ণিমা। পরিবেশ অনুকূলে থাকলে মা মাছ ডিম ছাড়বে। ইতিমধ্যে তিনটি হ্যাচারীর প্রায় ৬শ ডিম সংগ্রহকারী ডিম সংগ্রহে নৌকা, জাল, বালতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে প্রস্তুত রয়েছেন। অপেক্ষায় রয়েছে বৃষ্টি বাদলের দিকে, ঈদের দিন থেকেই অনেকে পালাক্রমে পাহারায় আছেন। ডিম সংগ্রহের এ মুহুর্তে মাছুয়াঘোনা হ্যাচারী ধ্বংসের মুখে এটা ভাবতেই তারা হতাশ। প্রায় ২ শ ডিম সংগ্রহকারী এ হ্যাচারীতে কুয়া বুকিং করেছেন। ডিম সংগ্রহকারীদের মধ্যে বৃহত্তম একটি অংশ এ হ্যাচারীর সাথে জড়িত। এদিকে গত দু বছর ধরে হ্যাচারীর উত্তরাংশ হালদার ভাঁঙ্গনের কবলে পড়লেও অবগত করার পরও পানি উন্নয়ন বোর্ড কোন ব্যবস্থা নেয়নি। দু বছরে ফসলি জমিসহ প্রায় ৪০ ফুট নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে বলে জানান ডিম সংগ্রহকারী এবং স্থানীয়রা। গত বুধবার থেকে হ্যাচারীর সীমানা প্রাচীরে ভাঁঙ্গন শুরু হলে তাও পাউবো কে জানান ডিম সংগ্রহকারীরা। এতে তারা দায়সারা ভাব দেখালে অবশেষে শনিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নির্বাহী অফিসারের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন পাউবো’র উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী বদরুল মনির হানাফী। নির্বাহী অফিসার ও স্থানীয়দের অনুরোধে কাজ শুরু করার আশ্বাস দেন তারা। এদিকে আশ্বাস দেয়ার একদিন পার হলেও রোববার তাদের দৃশ্যমান কোন কাজ দেখা যায়নি। ফলে সোমবার ভোররাত হতেই ভেঙ্গে পড়ে। তবে সোমবার থেকে তারা কাজ শুরু করবেন বলে জানান, নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহিদুল আলম। পাউবো’র বরাত দিয়ে তিনি জানান, তাদের উর্ধ্বতনদের সাথে কথা হয়েছে তারা দ্রুত কাজ শুরু করবেন। ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে জিও ব্যাগ নিয়ে তারা যাত্রা শুরু করেছেন। তার আগেই আমরা স্থানীয় চেয়ারম্যানকে নিয়ে কাজ শুরু করেছি। চেষ্টা করছি ডিম সংগ্রহকারীরা যাতে কোন রকম কষ্টের স্বীকার না হোন। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলি। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা পিযুষ প্রভাকর (অতিঃ)।