বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ এবং আসামি আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির ড়্গেত্রে মামলায় তার নাম বাতিলের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেয়।
আদালতে মিন্নির পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এ এম জামিউল হক ফয়সাল। তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘মামলার অভিযোগ গঠন চ্যালেঞ্জ এবং ওই অভিযোগ থেকে মিন্নির নাম বাতিল চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালত আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন।’
রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় গত ১ জানুয়ারি মিন্নিসহ প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় বরগুনার সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালত। এরপর এই অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ ও মামলা থেকে মিন্নির নাম বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন করেন মিন্নি। তাকে ছাড়া প্রাপ্তবয়স্ক অন্য যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে তারা হলেন–রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি (২৩), আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯), মো. মুসা (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল ইসলাম সাইমুন (২১)।
গত বছরের ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে রিফাত শরীফ খুন হওয়ার পরদিন ১২ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। ওই মামলার এক নম্বর সাক্ষী করা হয়েছিল মিন্নিকে। কিন্তু এরপর ১৬ জুলাই বরগুনার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্ধ্যায় রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়ে মিন্নিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
রিমান্ডে নেওয়ার পর ১৯ জুলাই পুলিশ জানায়, রিফাত হত্যার সংশ্লিষ্টতায় মিন্নি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন দাবি করেন, জবরদস্তি ও তড়িঘড়ি করে মিন্নির কাছ থেকে জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।