রূপগঞ্জে সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় গোলাম রসুল কলিকে আসামী করায় স্থানীয় আওয়ামীলীগে অসন্তোষ

প্রকাশিত: ১:৪৯ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৯, ২০২৩
মো :রাসেল মোল্লা
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা ঃ
স্যাটেলাইট টেলিভিশন বাংলা টিভি নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ প্রতিনিধি
সোহেল কিরণের উপর হামলার ঘটনায় রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ,
কাঞ্চন পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও রূপগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের
উপদেষ্টা গোলাম রসুল কলিকে আসামী করার স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের
মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা গত কয়েকদিন ধরে সভা, প্রতিবাদ সভা ও
মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত ৪ এপ্রিল রাত ১০ টায় কাঞ্চন
বাজারের ছাবু মিয়ার চায়ের দোকানে সাংবাদিক সোহেল কিরণের বন্ধু সাইফুল
ইসলামের সঙ্গে পূর্ব শত্রতার জের ধরে কাঞ্চন এলাকার রিক্সাচালক আফজাল
হোসেনের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়। সাইফুল ইসলাম রিক্সাচালককে কিল ঘুষি ও লাথি
মারে। এসময় আফজাল হোসেন চায়ের দোকানের পানি পান করার গ্লাস ভেঙ্গে ভাঙ্গা
কাঁচ নিয়ে সাইফুল ইসলামের উপর চড়াও হয়। এসময় পাশে থাকা সাংবাদিক সোহেল
কিরণ প্রথমে আফজাল হোসেনকে বাঁধা দেয় ও পরে  তাকে কিল ঘুষি লাথি মারে।
তখন ক্ষিপ্ত হয়ে সাইফুল ইসলামের পরিবর্তে সোহেল কিরণের উপর আফজাল হোসেন
হামলা করে। হামলায় তার বাম কান, পেট, হাত-পাসহ শরিরের বিভিন স্থানে
ভাঙ্গা কাঁচের আঘাতের জখম হয়। একপর্যায়ে তাকে উদ্ধার করে ভুলতা একটি
প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সোহেল কিরণ এখন শংঙ্কামুক্ত।
এ ব্যপারে সোহেল কিরনের ছোট ভাই শাহেল মাহমুদ বাদী হয়ে
রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীগের সদস্য, কাঞ্চন পৌরসভার সাধারণ সম্পাদক ও
রূপগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা গোলাম রসুল কলি ও হামলাকারী
রিক্সাচালক আফজাল হোসেনকে নামীয় ও অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের
করেন। আফজাল হোসেন কাঞ্চন পৌরসভার চরপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের
ছেলে। আফজাল হোসেন পেশায় একজন রিক্সা চালক।
 কাঞ্চন পৌসভার বাসিন্দা রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এমায়েত হোসেন বলেন, কারো নির্দেশিত হয়ে সোহেল
কিরণের উপর হামলা করলে রিক্সা চালক আফজাল হোসেনের হাতে ছুরি, চাকু কিংবা
কোন অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা করতো। চায়ের দোকানের গ্লাস ভেঙ্গে
আত্মরক্ষার জন্য আফজাল হোসেন সাইফুল ইসলামের উপর হামলা চালায়। ঘটনাচক্রে
সোহেল কিরণের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে প্রমাণিত হয় হামলার ঘটনাটি
পরিকল্পিত নয়।
রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও মুড়াপাড়া ইউপি
চেয়ারম্যান আলহাজ¦ তোফায়েল আহম্মেদ আলমাছ বলেন, রূপগঞ্জে দ’ুটি
প্রেসক্লাব রয়েছে। একটি রূপগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাব। এ প্রেসক্লাবের
উপদেষ্টা গোলাম রসুল কলি। অন্য প্রেসক্লাবের সদস্য সোহেল কিরণ। ওই
প্রেসক্লাবের বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ঈর্ষান্বিত হয়ে গোলাম রসুল কলির
বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় মামলা করতে বাদী ও পুলিশকে প্রভাবিত করে।
রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি আলহাজ¦ তোফাজ্জল
হোসেন মোল্লা বলেন, গোলাম রসুল কলি আওয়ামীলীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী।
কাঞ্চন পৌরসভার একজন মেয়র প্রার্থী। তাঁর জনপ্রিয়তার প্রতি ঈর্ষান্বিত
হয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় রয়েছে। তার জের ধরেই
সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে গোলাম রসুল কলিকে মামলায়
জড়ানো হয়েছে ।
রূপগঞ্জ থানায় অফিসার ইনচার্জ এএফএম সায়েদ বলেন, বাদীর
অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা রূজু করা হলেও অহেতুক কাউকে হয়রানি করা হবেনা।
সুষ্ঠু তদন্ত করে দুষিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।



error: Content is protected !!