মিঠুন গোস্বামী রাজবাড়ীঃ
ঈদের আর মাত্র বাকি ২ দিন, এরি মধ্যে রাজধানী ছাড়ছে কর্মজীবী মানুষ। প্রতি বছরের থেকে অন্য চিত্র এবার দৌলতদিয়া- -পাটুরিয়া নৌরুটে।কোন রকম ভোগান্তি ছাড়াই এবার বাড়ি ফিরতে পারছেন তারা। তবে কিছু অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে যাত্রীদের। সেই সাথে লঞ্চে ধারণ ক্ষমতার থেকেও বেশি যাত্রী নেওয়ারও অভিযোগ তুলেছেন তারা।ঈদে স্বাভাবিক সময়ের থেকে যাত্রীদের চাপ বেশি থাকে বলে জানায় ঘাট কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (৩০ এপ্রিল) সকালে দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, পাটুরিয়া প্রান্ত থেকে ছেড়ে আসা একাধিক লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী রয়েছে। ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ যাত্রী নিয়ে ভিড়ছে দৌলতদিয়া ঘাটে। তবে লঞ্চের টিকিটে ২৫ টাকা ভাড়ার মূল্য থাকলেও নেয়া হচ্ছে ৩৫ টাকা এমন অভিযোগ যাত্রীদের।
এদিকে গত বর্ষা মৌসুমে দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এখন পর্যন্ত মেরামত বা সংস্কার করতে পারেনি বিআডব্লিউটিএ। ফলে অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ লঞ্চ ঘাট দিয়ে নদী পার হচ্ছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে ঘাটের মেরামতের কাজ চলছে।
লঞ্চের যাত্রী বাপ্পি গোস্বামী বলেন, গাবতলী থেকে পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত ৩০০ টাকা ভাড়া দিতে হলেও তেমন কোন ভোগান্তি ছাড়াই এসেছি। পাটুরিয়া এসেই লঞ্চ পেয়েছি তবে টিকিটের আগের মুল্যে ২৫ টাকা থাকলেও দিতে হয়েছে ৩৫ টাকা। সেই সাথে লঞ্চে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অধিক যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। নদীর মাঝখানে এসে অনেক ভয় পেয়েছি। নদীর মাঝখানে আসলেই নদীর অশান্ত রুপ দেখতে পাই। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দেখা উচিত।
অপর আরেক যাত্রী বলেন, লঞ্চে কখনো শৃঙ্খলা ফিরলো না। দেশে এতো দুর্ঘটনা ঘটছে তারপরেও মানুষের হুঁশ ফিরছে না। যখন একটা দুর্ঘটনা ঘটবে তখন প্রশাসন নড়েচড়ে বসবে। এর আগে কেউ খোঁজও রাখে না কোথায় কি হচ্ছে। যেভাবে মানুষ লঞ্চে উঠছে তাতে ভয়েরই বিষয়।
বিআইডব্লিউটিএ’র দৌলতদিয়া ঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শক এবং পাটুরিয়া ঘাটের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা আফতাব হোসেন বলেন, কি বলব ভাই। সবই বুঝতে পারছেন। ঈদের আগে অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। তারপরেও আমরা যাত্রীদেরকে লঞ্চে উঠার বিষয়ে সচেতনতার কাজ করছি। আর লঞ্চ চালকদের কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে কোন অতিরিক্ত যাত্রী লঞ্চে না উঠায়।