লালমোহন ভোলা প্রতিনিধিঃ
ভোলা লালমোহন পৌরসভায় আটক করা জেলেদের
চালের তদন্ত করেছেন তদন্ত কমিটি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল-নোমান এর নেতৃত্বে গত ২৮ জানুয়ারী ২০২১ তারিখে পৌরসভার স্ট্রোর রুমে আটককৃত চালের তদন্ত করেছেন তদন্ত টিম। সোমবার বেলা ১১টায় তদন্ত টিমের প্রধান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুছ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ ঘোষ ও একটি বাড়ি একটি খামার কর্মকর্তা মোঃ লোকমান হোসেনের নেতৃত্বে পৌরসভার কাউন্সিলরবৃন্দ ও পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীদের উপস্থিতিতে এ তদন্ত করা হয়। তদন্তকালে দেখা যায়, গত জুলাই-২০১৯ সালের মা”ইলিশ সংরক্ষণ ও সামদ্রিক মৎস্য নিধনকালে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির চাল জেলেদের মাঝে সময় মতো বিতরণ না করে পৌর সভার মেয়র এমদাদুল ইসলাম তুহিন স্ট্রোর রুমে রেখে দেন। সময় মতো জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ না করায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৮ জানুয়ারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল-নোমান এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৬শ কেজি চাল আটক করে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব রাখেন। অপরদিকে পৌর ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরহাদ হোসেন মেহের জানান, ১নং ওয়ার্ডের মৃতঃ সামছল হকের ছেলে আবু কালাম ৫ বছর পুর্বে ও মোঃ শাহে আলম ৩ বছর পুর্বে মারা যায়। মৃত্যুর পরও অবৈধভাবে মাস্টার রুলে তাদের টিপ দেখিয়ে জেলে ভাতা উত্তোলন করা হয়েছে। ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইমাম হোসেন অভিযোগ করেন, সামদ্রিক জেলেদেরকে মার্চ, এপ্রিল, মে ও জুন প্রতি মাসে জনপ্রতি ৪০ কেজি করে চাল দেয়ার কথা থাকলেও শুধু ১ মাসের ৪০ কেজি করে চাল দিয়ে তাদেরকে আর কোন চাল দেয়া হয়নি। তাহলে বাকী চাল কোথায় গেল?