সীমিত পরিসরে অফিস খোলায় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে খুলনায় প্রবেশঃ বাড়ছে করোনা সংক্রমনের ঝুকি
মোঃ ইউসুফ শেখ, খুলনা প্রতিনিধিঃ
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শর্ত সাপেক্ষে সীমিত পরিসরে আজ থেকে খুলছে অফিস-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে খুলনার বাইরে থাকা মানুষজন গন পরিবহন না থাকায় বিভিন্ন ভাবে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন এতে জন সমাগমের কারণে একদিকে করোনা সংক্রমনের ঝুকি বাড়ছে। অন্যদিকে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের।
তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণে খুলনায় উর্ধমুখি প্রবনতার কারণে বাড়তি সতর্কতায় রয়েছে প্রশাসন। গত দেড় মাসে খুলনা জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫ জন। এর মধ্যে শেষ ১৩ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬ জন।
অফিস-আদালত খুললে জনসমাগম বাড়বে, বাইরের জেলা থেকে লোকজনও আসতে থাকবে। এ অবস্থায় কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরন না করলে ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে। তবে সার্বিক দিক বিবেচনা করে এরই মধ্যে বাড়তি সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন।
খুলনা মহানগরীর ২১টি পয়েন্টে স্বাস্থ্যবিধি মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করেছে মেট্রোপলিটন পুলিশ। পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা।
ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী বহন করায় চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকি মাথায় নিয়েই জীবন-জীবিকার তাগিদে কর্মস্থলে ফিরতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। যেকোনো মাধ্যমেই হোক কর্মস্থলে পৌঁছাতে হবে। নইলে চাকরি থাকবে না তাঈ ঝুঁকি নিয়ে কম ভাড়ায় পিকআপে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। অনেকেই দুইজনে মিলে একটা মোটরসাইকেল ভাড়া করে যাচ্ছেন। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে মানুষের শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে।
করোনাভাইরাসের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষনা করা হয়। প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকার পর আজ থেকে অফিস চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে করোনা সংক্রমণে খুলনায় উর্ধমুখি হারের কারণে ঝুকির আশংকা করছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহম্মেদ বলেন, গত দেড় মাসে খুলনা জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫ জন। এর মধ্যে শেষ ১৩ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬ জন। অফিস-আদালত খুললে জনসমাগম বাড়বে, বাইরের জেলা থেকেও লোকজন আসতে থাকবে। এ অবস্থায় কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরন না করলে ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে। তবে সার্বিক দিক বিবেচনা করে এরই মধ্যে বাড়তি সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন।