মোঃইব্রাহিম সেনবাগ নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর সেনবাগ থানা পুলিশ উপজেলার ৩নং ডমুরুয়া ইউনিয়নের পরীকোট গ্রাম থেকে রহস্যজনক মৃত্যু হওয়া মো. হাসান (২২) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সেনবাগ থানার এসআই মো. আবদুল আউয়ালের নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স উপজেলার ডমুরুয়া ইউপির পরিকোট উত্তর-পূর্ব পাড়া ১নং ওয়ার্ডের মৃত আবদুল হাকিমের নতুন বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,পরিকোট গ্রামের আবদুল হাকিমের প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর সে মনিয়ম বেগমকে দ্বিতীয় বিবাহ করে। বিয়ের সময় দ্বিতীয় ঘরের স্ত্রীর প্রথম স্বামীর সংসারের মেয়ে ফাতেমা আক্তার প্রকাশ কুশুমী নামের এক মেয়েকে নিয়ে দ্বিতীয় স্বামীর সংসারে স্বামী সহ বসবাস শুরু করে। এই নিয়ে আবদুল হাকিমের দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানদের সঙ্গে জায়গা জমিন নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে মঙ্গলবার বোন ফাতেমা বেগম কুশুমী ও বোন জামাই পেয়ার আহম্মদের সঙ্গে হাসানের কথা কাটাকাটি হয়। এরজের ধরে বোন ও বোন জামাই মিলে হাসানকে একটি চেয়ারের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে। পরবর্তীতে হাসানের মৃত্যু হলে লাশ ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে সে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে।
ঘটনাস্থলে থাকা সেনবাগ থানার এসআই আবদুল আউয়াল জানান হাসান বিদেশ যেতে পরিবারের নিকট টাকা চাইলে টাকা দিতে অস্বীকার করলে সে অভিমান করে শয়ন কক্ষের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গালায় দড়ি পেঁছিয়ে আত্মহত্যা করে। এরপর দুপুরে খবর পেয়ে সেনবাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় থানায় প্রাথমিকভাবে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।