রাকিব উদ্দিন লস্কর,
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ৯নং নোয়াপাড়া ইউ/পি’র নারাইনপুর গ্রামে দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে তিন জন গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
জানা যায়,পূর্ব শত্রুতার জের ধরে লালু মেম্বারের নেতৃত্বে এক দল সন্ত্রাসী পূর্বে থেকে উৎ পেতে থাকা দা,লাঠি সোটা নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা করে, স্হানীয় কামাল হোসেন গং দের উপর । ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে কামাল মোটরসাইকেল যোগে বাজারের উদ্দ্যেশ্যে বাড়ি থেকে বের হলে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ইসলামাবাদ (নারাইনপুর) ২নং ওয়ার্ড মেম্বার আরিছ উদ্দিন লালু’র এর নির্দেশে সন্ত্রাসীরা কামাল সহ নারায়নপুরের কিছু অসহায় মানুষদের উপর হামলা করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,শাহ মোহাম্মদ কামাল হোসেন (৪০)নোয়াপাড়া বাজারের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়,মোটর সাইকেল যোগে বের হলে নারাইনপুর টঙ্গীর মোড়ে আসতেই মাদকব্যবসায়ী হাবিব ও সফিক এবং সাঈদুল, সোরহমান সহ এলোপাতাড়ি হামলা চালায় শাহ মোহাম্মদ কামাল হোসেনের উপরে।এতে শাহ মোহাম্মদ কামাল হোসেন মারাত্মক ভাবে আহত হয় ।
শাহ মোহাম্মদ কামাল হোসেনের শশুর কাউছার মিয়া (৬০) মারামারি আটকাতে এগিয়ে আসলে তাকেও এলোপাতাড়ি হামলা করে প্রানে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিছন থেকে মাথায়, হাতে এবং পিঠে ধারালো অস্ত্রের আঘাত করে গুরুতর জখম করেন।এলাকাবাসীরা আহতদের নিকটস্থ মাধবপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন ।
অন্যদিকে মাদক কারবারি মজিবুর রহমান মজু (৪৫) আক্কাস নামের এক নিরীহ ব্যক্তিকে কাঠের রোল দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে জখম করায় তার ডান হাত ভেঙে পড়ে। মাধবপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
সন্ত্রাসীদের হামলায় মহিলা সহ ৭/৮ জন গুরুতর আহত হন। গুরুতর আহত তিন জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে আনা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন,গুরুতর আহতদের হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে,অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে।
মারামারি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এখনও কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।