হবিগঞ্জে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা
সৈয়দ আখলাক উদ্দিন মনসুর স্টাফ রিপোর্টা শায়েস্তাগঞ্জ থেকে ঃ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ৪৬ তম মৃত্যু বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে নজরুল একাডেমি হবিগঞ্জ জেলা শাখা উদ্যোগে এবং জেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রতি বছর ন্যায় এবারো রবিবার ( ২৮ আগস্ট ) বিকাল ৪ টায় জেলা প্রশাসক সম্মেলন সভা কক্ষে আলোচনা সভা ও কবিতা আবৃত্তি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে । উক্ত অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক ) মোঃ মিন্টু চৌধুরী সভাপতিত্বে ও নজরুল একাডেমি সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়কারী এবং হপবিস বোর্ডের সভাপতি মোঃ আব্দুল আউয়াল তালুকদার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইসরাত জাহান । স্বাগত বক্তব্য রাখেন মূখ্য আলোচক ইউকে বার্মিংহাম সাহিত্য পরিষদের সভাপতি বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক এবং বৃন্দাবন সরকারি কলেজের দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ ইকবাল । বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ নজরুল একাডেমি সভাপতি তাহমিনা বেগম গিনি , আলোচনায় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন – হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ইকরামুল , বিশেষজ্ঞ শিশু ডাঃ জমির আলী , ধর্ম ঘর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আলী আজগর , শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ মুক্তা আক্তার , জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মোঃ আবদুল্লাহ সরদার , শচিনদ্র কলেজের সহকারী অধ্যাপক গৌতম সরকার প্রমূখ । এছাড়া আলোচনায় সভায় অংশ নেন – শায়েস্তাগঞ্জ পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও জাতীয় চুনারুঘাটের চান ভাঙা হাবেলীর কৃষি ব্যাংকের অবসর প্রাপ্ত সাবেক ব্যবস্থাপক সৈয়দ গিয়াস , নজরুল একাডেমি হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর কমিশনার আব্দুল মোতালিব মমরাজ , চার্টার একাউন্ট ও আলী ইদ্রিস হাইস্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আলী ইদ্রিস , আব্দুল আউয়াল তহবিলদার , হবিগঞ্জ সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি এম এ ওয়াহিদ , তারেক তরফদার , শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা অনলাইন প্রেস ক্লাবের সভাপতি সৈয়দ আখলাক উদ্দিন মনসুর , সৈয়দ জামিল , নরছতপুর সাহেব বাড়ীর সৈয়দ মামুন , চুনারুঘাট গণপদক্ষেপ পাঠাগারের সোহেল । প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক ইসরাত জাহান বলেন , জয় বাংলা শ্লোগান মূলত কাজী নজরুল ইসলামের একটি কবিতা থেকে নেয়া হয়েছে । নজরুল ইসলাম ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একই চেতনার প্রতিক । একই চেতনায় বিশ্বাসী । দু’ জনই ছিলেন স্ব স্ব ক্ষেএে বিদ্রোহী । বলা হয়ে থাকে সাহিত্যের কবি কাজী নজরুল ইসলাম , আর রাজনীতির কবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গান শোষণ – রনচনার বিরুদ্ধে সংগ্রামে জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছে । মুক্তি যুদ্ধে তাঁর গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস । তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ লেখক । তাঁর লেখনিতে জাতীয় জীবনে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে । তাঁর কবিতা ও গান মানুষকে যুগে যুগে শোষণ ও বনচনা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে চলছে । তাঁর কবিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল মানুষের ওপর মানুষের অত্যাচার এবং সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ । আমাদের দেশ থেকে দুর্নীতিদূর করতে হলে কাজী নজরুলের আদর্শ অনুসরণ করতে হবে । বুকে নজরুলের আদর্শ লালন করতে হবে । তবেই দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করা সম্ভব । বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব । নজরুল চর্চার মাধ্যমে আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব ।