হবিগঞ্জে নকল ও নিম্নমানের ওমিপ্রাজলে সয়লাব বিভিন্ন ফার্মেসিতে

প্রকাশিত: ৯:৩৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৬, ২০২২

রাকিব উদ্দিন লস্কর,
অখ্যাত ও বেনামী কোম্পানীর উৎপাদিত নকল ও নিম্ন মানের ওমিপ্রাজল ক্যাপসুলে ছেয়ে গেছে হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন  উপজেলার  হাটবাজারের ফার্মেসিগুলো।

এসব ওমিপ্রাজল ফার্মেসি মালিকেরা কোম্পানীর প্রতিনিধিদের মাধ্যমে কমদামে সংগ্রহ করে ৪/৫ গুন বেশী দামে সহজ সরল লোকজনদের কাছে আসল ওমিপ্রাজল বলে চালিয়ে দিচ্ছেন অনায়াসে। কয়েকটি ফার্মেসিতে কয়েকদিন ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে এবং ফার্মেসি মালিকদের সাথে কথা বলে পাওয়া গেছে পিলে চমকানো তথ্য। তারা জানান সারাদিনে এসব নিম্নমানের ১ বাক্স ওমিপ্রাজল বিক্রী করতে পারলেই তাদের গড়ে দিনের রুজি হয়ে যায়।

বাজারে বেশকিছু কোম্পানী বিভিন্ন নামে নিম্ন মানের ওমিপ্রাজল ক্যাপসুল সরবরাহ করে থাকে। কম দামি ওমিপ্রাজল উৎপাদনকারী কোম্পানীগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে,ওয়েসিস, এলবিয়ন,বাইওজেন,আইবিপি প্রভৃতি।

ওয়েসিস কোম্পানীর উৎপাদিত ওমিপ্রাজল ক্যাপসুলের ব্র্যান্ড নেইম ওমপ্রিজল। এই একটি মাত্র প্রোডাক্ট ছাড়া ওয়েসিস কোম্পানী আর কোনো ঔষুধ বাজারজাত করে না বলে ফার্মেসি মালিকেরা জানিয়েছেন।

ওয়েসিস কোম্পানীটি বৃহত্তর পাবনার সিরাজগঞ্জে অবস্থিত বলে প্যাকেটের গায়ে মুদ্রিত রয়েছে। বাইওজেন কোম্পানীর বাজারজাতকৃত ওমিপ্রাজলের নাম সেকলোজেন-২০। এলবিয়নের ওমিপ্রাজল প্রিপারেশনের নাম ওমিজল ও আইবিপির ওমিপ্রাজলের নাম প্রোটোবিট-২০।

এসব নিম্নমানের ওমিপ্রাজলের বাজারে বেশ চাহিদা রয়েছে বলেও জানা গেছে। একশ্রেণীর লোক ফার্মেসীতে এসে নাম ধরে এ ঔষুধগুলো চায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ফার্মেসী মালিক জানিয়েছেন,এগুলো খেয়ে গ্যাস্ট্রিকের রোগীরা দুই পয়সার ফায়দাও পান না।

তারপরও লোকজন নিতে চায় এবং কম পুঁজিতে অধিক লাভের কারনে তারা বাধ্য হয়ে ফার্মেসীতে রাখেন। ঔষুধ প্রশাসনের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে বর্তমানে হবিগঞ্জ জেলায় ড্রাগ সুপারের কোন অফিস নেই। সিলেট থেকে তত্বাবধান করা হয়।

তবে স্থানীয় ড্রাগিস্ট এন্ড কেমিস্ট সমিতি এ বিষয়ে উদ্যোগী ভূমিকা নিয়ে ওষুধ প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে পারে। তখন নিম্নমানের ওষুধগুলো ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষা করে এগুলোর গুণগত মানের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে।




error: Content is protected !!