হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ১২বছর পর বিএনপি‘র সম্মেলন।নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা।
হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃহবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে উপজেলা বিএনপি‘র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে প্রায় এক যুগ ১২বছর পর।
আর এই সম্মেলনকে ঘিরে দলটির স্থানীয় নেতা-কর্মী ও দলীয় সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্যনীয়।
১ এপ্রিল শুক্রবার স্থানীয় কামালখানী নাজমুল হাসান জাহেদ ইনষ্টিটিউটে সম্মেলন অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে।
সকাল ১১টায় সম্মেলন উদ্ধোধন করবেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ সাখাওয়াত হাসান জীবন।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম ডাঃ জাহিদ হোসেন।
এছাড়াও জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ,বিভাগীয়,জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
বেলা ২ঠা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহন করার কথা রয়েছে।
বানিয়াচং উপজেলা কমিঠির নতুন সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক বাছাইয়ের জন্য ভোট গ্রহন করা হবে।মোট কাউন্সিলর রয়েছেন ১হাজার ৬৫ জন।
সম্মেলনে সভাপতি পদে মোট প্রার্থী হয়েছেন ২ জন তারা হলেন,উপজেলা বিএনপি‘র সাবেক আহবায়ক মুজিবুল হোসেন মারুফ ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ বশির আহমেদ।
সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন ৫ জন তারা হলেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হুসেন বকুল,সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়ারিশ উদ্দিন খান,এডঃ আব্দুল কাদির,মুহিবুর রহমান বাবলু,নকিব ফজলে রকিব মাখন।
একমাস ব্যাপী দলীয় প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণায় ছিল অভিনব পদ্ধতি।
এক সাথে একই মঞ্চ থেকে প্রার্থীরা নিজেদের প্রচারণা চালিয়েছেন।
প্রত্যেকে মাত্র ৭ মিনিট করে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
কেউ কারো বিরুদ্ধে বিষেদাগার বা উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন।
এতে করে সময় ও অর্থ সাশ্রয় যেমন হয়েছে তেমনি একে অপরের প্রতি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সু-দৃঢ় করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা বিএনপি‘র আহবায়ক লুৎফুর রহমান জানান, করোনা পরিস্থিতি ছাড়াও বিরোধী দলের রাজনৈতিক পরিবেশ প্রতিকূলে থাকায় আমাদের সম্মেলন অনুষ্টিত হতে দীর্ঘ সময় লেগেছে।
বানিয়াচং বিএনপি একটি সুসংগঠিত সংগঠন। সম্মেলনের পরপরই সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে বিএনপি‘র জাতীয় নির্বাহী কমিঠির সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ সাখাওয়াত হাসান জীবন বলেন, বানিয়াচং উপজেলা বিএনপি একটি সু-সংগঠিত সংগঠন। এখানে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যেভাবে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন সেভাবেই দলীয় নেতাকর্মীরা কাজ করেছেন। দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ে গোপন ব্যালটের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। অভিনব পন্থায় প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে একটি মাইলফলক সৃষ্টি করেছেন।