রবিউল ইসলাম সুইট, হিলি, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের হাকিমপুরে হিলিতে সরিষার চাষবাদ বেড়েছে। আমন ধান কাটাই-মাড়াইয়ের পর ৩ মাস ধরে ফেলে না রেখে বাড়তি আয় করতে একই জমিতে সরিষা চাষে ঝুঁকছেন হাকিমপুর হিলি উপজেলার কৃষকেরা। কৃষকদের সরিষা চাষে উৎসাহিত করতে বিনামূল্যে সার ও বীজ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
প্রকৃতি সেজেছে হলুদ সাজে,মাঠে মাঠে হলুদের সমারোহ,প্রাণ জুড়িয়ে যাচ্ছে প্রকৃতি প্রেমিদের। মাঠে-ঘাটে, গ্রাম-গঞ্জে আর রাস্তায় সরিষার ফুলের সুভাষ ছড়াচ্ছে, মুগ্ধ হচ্ছে পথচারীরা। দেশে ভোজ্য তেলের চাহিদা তুলুনায় উৎপাদন কম। এসব ভোজ্য তেলে আমদানি করতে হয় বেশি ভাগ বাহির দেশের থেকে। আমদানিকৃত তেলের মুল্য বৃদ্ধি দিন দিন বেড়েই চলছে। তেলের দাম স্বাভাবিক রাখতে এবং চাহিদা মেটাতে সরিষার চাষ বৃদ্ধি করেছে সরিষা চাষিরা। এক বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করতে কৃষকের খচর হয় তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় কৃষকরা সরিষা উৎপাদন করে থাকে ৬ থেকে ৭ মণ। সরিষা চাষের উপযোগী আবাওহায়া ভালো থাকায় ভালো ফলনের আশা করছেন ইে উপজেলার কৃষকেরা। গত বছরের তুলনায় এই বার উপজেলায় ৮০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ বেশি হয়েছে।
উপজেলার জালালপুর গ্রামের কৃষক আনছার হাজী বলেন,আমি আমন ধান কাটার পর অনেক পরিশ্রম করে জমি তৈরি করে সরিষা বীজ বোপন করেছি। বীজ লাগানোর ৫৫ থেকে ৬০ দিনের মাথায় সরিষা ফলন ঘরে আসে। ১ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করতে খরচ হয় প্রায় ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় ৪ থেকে ৫ মণ ফলন হয় সরিষার, যা বর্তমান বাজারে বিক্রি হবে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা।
উপজেলার সিংড়া পাড়া গ্রামের সরিষা চাষি আবু বক্কর বলেন, আমন ধান কাটার পর জমিগুলো পড়ে থাকে তাই প্রতি বছর আমার জমিগুলোতে সরিষা চাষ করে থাকি। এবারও সরিষা চাষ করেছি। গাছ অনেক ভালো হয়েছে আশা করছি ফলনও অনেক ভালো হবে।
তিনি আরো বলেন,জমিতে সরিষা চাষের সময় সার প্রয়োগ করলে বোরো রোপনের জন্য আলাদাভাবে তেমন সার দিতে হয় না এটা আমাদের অনেক উপকারে আসে।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আরজেনা বেগম জানান,উপজেলার কৃষকদের সরিষা চাষে উৎসাহিত করতে বিনামূল্যে সার ও বীজ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও অন্য ফসলের তুলনায় স্বল্প সময়ে লাভজনক হওয়ায় কৃষকেরা দিন দিন সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকছেন।উপজেলায় মোট ৩২শ জন কৃষককে বিনামূল্যে সরিষার বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে।হাকিমপুর উপজেলা ২৯ শ ৫৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। কিন্ত আমরা ৩ হাজার ৩৫ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ করতে সক্ষম হয়েছি। গত বছরের তুলুনায় এবছরে ৮০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদ বেশি হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে এ উপজেলায়।