২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এই এলাকায় ছিল মাদকের ছড়াছড়ি – এমপি শাওন

প্রকাশিত: ১১:৫২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০

এনামুল হক রিংকু,লালমোহন ভোলা প্রতিনিধিঃ

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছেন।আর আমি এমপি হওয়ার পর লালমোহন-তজুমদ্দিনে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছি । সব রকম অপরাধ কমলেও মাদক এখনও রয়ে গেছে। আমি আসা করি বর্তমান সরকার জনগনের জন্য যে আইন প্রনয়ন করেছেন তা জনগন মেনে চলবে। কেউ ব্যত্যয় ঘটালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা প্রতিরিাধ করবে। সে হউক আমার ভাই বা আমার নেতা, কর্মী। রাষ্ট্রের প্রধান দায়িত্ব হলো আইন প্রনয়ন করা। আর আমাদের সকলের দায়িত্ব হলো তা বাস্তবায়ন করা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পুলিশি কার্যক্রমকে আধুনিকায়ন করতে ব্যাপক কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশের সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ‘বিট পুলিশিং’ কার্যক্রম গরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে। স্থানীয়ভাবে পুলিশের সেবা শতভাগ নিশ্চিত করতে এ বিট পুলিশিং। তাই স্ব স্ব এলাকার মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, জঙ্গি, ইভটিজিং, বাল্যবিয়ে, সাইবার ক্রাইমসহ সামাজিক অবক্ষয় প্রতিরোধে যে কোন সমস্যায় বিট পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করার জন্য আহবান জানান। পুলিশকে অপরাধ দমনে সহযোগিতা করবেন। সকলের সহযোগিতা চাই।

২৭ সেপ্টেম্বর, বেলা ১১ টায় লালমোহন থানার আয়োজনে থানা চত্বরে মাদক, জঙ্গি, ইভটিজিং, বাল্যাবিয়ে, সাইবার ক্রাইমসহ সামাজিক অবক্ষয় প্রতিরোধে বিট পুলিশিং সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন- ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এই এলাকায় ছিল
মাদকের ছড়াছড়ি।সেইসময় ছাত্রদল, যুবদলের নেতৃত্বে লালমোহন বাজারে কার্ড দিয়ে চাঁদাবাজী করতো । তখনকার সংসদের আমলে ছাত্রদল, যুবদল, মৌমাছি বাহিনী, ও বীরবিক্রম বাহীনী সহ বিভিন্ন ক্লাবের নামে চাঁদাবাজী করতো। এই এলাকার মানুষ তখন সন্ত্রাসীদের কাছে ছিল অসহায়। ছিল না কোন ন্যায় বিচার। আমি এমপি হওয়ার পড়ে এখন লালমোহন কোন চাঁদাবাজ নেই। এখন লালমোহন-তজুমদ্দিনের মানুষ শান্তিতে বসবাস করছে।

অনুষ্ঠানে গেষ্ট অব অনার হিসাবে বক্তব্য রাখেন ভোলা জেলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার
এসময় লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকসুদুর রহমান মুরাদের সভপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লালমোহন সার্কেল) মো: রাসেলুর রহমান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধক্ষ গিয়াসউদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক ফকরুল আলম হাওলাদার, পৌরসভার আওয়ামিলীগ আহবায়ক সফিকুল ইসলাম বাদল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসান রিমন,উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি আক্তার হোসেন চেয়ারম্যান,লালমোহন পৌরসভা ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরহাদ হোসেন মেহের, প্রেসক্লাবের সদস্য মিজানুর রহমান লিপু, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মাকসুদ, ছাত্রী সুমায়া আক্তার নদী প্রমূখ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক ব্যক্তি, সাংবাদিক, শিক্ষক ও শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।




error: Content is protected !!