এ জি মুন্না,নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
৯৯৯ নম্বরে ফোন করে তথ্য দেওয়ায় নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় একটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার(২ জুলাই) ঘটনাটি নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, গতকাল বুধবার(১ জুলাই/২০২০) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের দণি বড়ভিটা ঘোন পাড়া গ্রামের দশ শ্রেনীর এক ছাত্রীর বাল্য বিয়ে দেয়া হচ্ছিল। বর পক্ষ এসেছে। খাওয়া দাওয়া চলছে। এমন সময় ৯৯৯ এ ফোন কল পেয়ে সেখানে পুলিশ সহ উপস্থিত হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ। এ সময় বর পক্ষ বিয়ের আসরে আসার পথে ঘটনা বেগতিক দেখে পালিয়ে যায়। কনের বাড়ির আটক করা হয় বাবা ও মা সহ অভিভাবকদের। কনের বাবা সিরাজুল ইসলাম ও মা বিলকিস বেগম তাদের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে কুমকুমের বাল্য বিয়ের বিষয়টি ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়ে মেয়ের আর বাল্য বিয়ে দিবেনা বলে মুচলেকা প্রদান করেন। এ সময় ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কনের বাবা ও মা কে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি হারুন অর রশীদ জানান, ৯৯৯ থেকে কল পাওয়ার পর বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করে সেখানে দ্রুত পুলিশ প্রেরন করি। এরপর নির্বাহী কর্মকর্তা সহ আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আমরা উক্ত বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি।