“গরীবের পাওনা বুঝিয়ে না দিলে রাতে আমার ঘুম হয় না” হ্নীলার চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী

প্রকাশিত: ৪:১৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৮, ২০২০

ওসমান আল-হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।
UNDP এনজিওর অর্থায়নে কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের গরীবের বন্ধু, চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী ২০০শ অসহার পরিবার চিহ্নিত করে প্রতি পরিবারকে নগদ ৩৫০০ টাকা করে প্রদান করেন।
হ্নীলার পূর্ব সিদকার পড়ার বেগম জানান। আমার বয়স আশি ছুই-ছুই। দীর্ঘ আট দশকে অনেক কিছু দেখেছি। স্বামী রহিম মারা গেছেন বছর দশেক আগে। এরপর আর নাহারা বেগমের খবর নেয়নি কেউ। সন্তান থেকেও যেনো নেই। বয়স্ক কিংবা বিধবা ভাতা, কপালে জোটেনি কোনটিই। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে এসে পোড়াকপালি নাহারা বেগমের আফসোস ছিলো সমাজের কেউ এসে তাহার পাশে দাঁড়াবে।
অবশেষে হতভাগীর সেই আফসোস পূরণ হলো। সমাজ সেবায় ব্রত রাশেদ মাহমুদ আলী খবর পেয়ে তার পাশে দাঁড়ালেন। সংসার আর ব্যবসা লাটে তুলে কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে নিরন্তর মানুষের সেবায় নিয়োজিত এ মানুষটি এখন ছুটে চলেন মানুষের সেবায়। সেবাই তার মন্ত্র, সেবাই তার ধর্ম। পাশাপাশি সমাজ থেকে অপরাধ ও মাদক নির্মূলে বদ্ধপরিকর এ মানুষটি। বাল্য বিয়ে, যৌতুক প্রথাসহ নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোটা তার নিয়মে পরিণত হয়েছে।
আর শিক্ষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি-কালচারের ক্ষেত্রে তার জুড়িমেলা ভার। বিত্ত-বৈভবের মধ্যে বসবাস করেও টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নে এ মানুষটি এখন খুঁজে খুঁজে অসহায়, হতদরিদ্র, নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়ান। শুধু তাই নয়। তরুণ এই জনবান্ধব প্রতিনিধির কারণে শত বেকার যুবকের কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টির লক্ষ্যে নিরন্তর ছুটে চলেছেন।
সমাজ সেবার অনন্য ভূমিকার কারণে ইতিমধ্যে তিনি ‘গরীবের বন্ধু রাশেদ মাহমুদ আলী’ হিসেবে গোটা টেকনাফ উপজেলায় খ্যাতি পেয়েছেন।
সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের অজোপাড়া ফুলের ডেইল গ্রাম। নাফনদীর তীর ঘেঁষা শান্ত-সুনিবিড় ফুলের ডেইল গ্রামেই জন্ম ‘গরীবের বন্ধু রাশেদ মাহমুদ আলী’ খ্যাত কক্সবাজার সংসদীয় আসন-৩ উখিয়া টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আলীর মেঝ ছেলে। খুবই সাদামাটা স্বভাবের এ তুখোড় তরুণ অকাতরে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন সমাজ সেবায়। অঢেল সম্পদ আর বিত্ত-বৈভবের মাঝে বসবাস করা এ মানুষটির মাঝে নেই কোনো হিংসা।
নিরংহকারী এ মানুষটি সাধারণ মানুষের সঙ্গে সময় দিতেও খুব স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
সমাজের অসহায়, হতদরিদ্র, খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষগুলোই যেনো তার অতি আপনজন। দিন মজুর, বিধবা অসহায় দারিদ্র ওলামায়ে কেরামের মাঝে তার বোঝাপড়া।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইউনিয়নের সরকারী ও এনজিওর বরাদ্দগুলোর সুষম বন্টনের বাস্তবচিত্র হ্নীলা ইউনিয়নের সর্বকনিষ্ঠ চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী দেখিয়েছেন্। যিনি ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে দলমত নির্বিশেষে গরীর দুঃখীদের তালিকা প্রনয়ন করে গরীবের হক যথাযথভাবে পৌঁছে দেন।
হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্মচারী প্রতিবন্ধি রহমত উল্লাহ, সহজ সরল মানুষ। তিনি জানান, দীর্ঘ দেড় যুগের কাল জুড়ে হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে চাকরি করি। নামমাত্র পারিশ্রমিক নিয়ে শুধু একটাই আশা চাকরিটা একটু এমপিও ভুক্ত করা। সেই ২০০৪ সাল থেকে পদাধিকার সূত্রে সভাপতি ও জনপ্রতিনিধিরা শুধু কথা দিয়েছে সবাই, কিন্তু কেউ কথা রাখেনি। অবশেষে বড় ভাই চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী স্কুলের সভাপতি হবার পর আমার বহুদিনের আশা পূর্ণ হলো, এখন পরিবারে মা, বউ দুই ছেলে নিয়ে আল্লাহর রহমতে ভাল আছি।
রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, “এই সমাজে হাজারো রহমত উল্লাহর মতো মানুষ আছে যারা খুব অল্প কিছুতে খুশি। একটি পরিবারের হাসি আমার হাসি।
ইনশাআল্লাহ আগামী আপনাদের পাশে থেকে জনগণের সেবা করতে চাই।
মাদক, সন্ত্রাস, জুয়া, যৌতুকসহ সমাজের অসংগতি দূরীকরণে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।




error: Content is protected !!