মোঃজামাল হোসেন লিটন,হবিগন্জ প্রতিনিধিঃ গত ৬ মার্চ ২০২০ তারিখ রেমা চা বাগানের ম্যানেজার ও শ্রমিকদের মধ্যে বিভিন্ন দাবি ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বিরোধ এর প্রেক্ষিতে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে ০৯ মার্চ ২০২০ তারিখ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও অফিসার-ইন-চার্জ চুনারুঘাট থানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এই ঘটনার পরক্ষণেই মালিকপক্ষ উক্ত বাগানের সামগ্রিক কর্মকাণ্ড অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখেন। ০৬ মার্চ থেকে অদ্যাবধি চা উৎপাদন কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে মারাত্মক অর্থকষ্টে পড়েন। এমতাবস্থায়, জেলা প্রশাসক মহোদয় চা শ্রমিকদের জন্য ৩ টন চাউল বরাদ্দ প্রদান করেন যা ইতোমধ্যে সুষ্ঠুভাবে বন্টন সম্পন্ন হয়।
মালিক ও শ্রমিক পক্ষের মধ্যকার বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল কাদির লস্কর এর আন্তরিক প্রচেষ্টায় অদ্য ০২ জুন ২০২০ তারিখে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে মালিক পক্ষ এবং শ্রমিকদের উপস্থিতিতে বিষয়টি সুরাহা করার জন্য এক সভা আহ্বান করা হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব সত্যজিত রায় দাশ। আরো উপস্থিত ছিলেন অফিসার-ইন-চার্জ চুনারুঘাট থানা, গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ আরো অনেকে। উক্ত সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুরোধের প্রেক্ষিতে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি মেনে নেওয়ার অঙ্গীকার করলে শ্রমিকরা কাজে ফিরতে সম্মত হন। মালিক ও শ্রমিকপক্ষ আগামী ৪ জুন,২০২০ তারিখ থেকে পুনরায় রেমা চা বাগানের সামগ্রিক কর্মকাণ্ড চালু করার বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছান।
উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল কাদির লস্কর বলেন ভবিষ্যতে মালিক ও শ্রমিক এর মধ্যকার সুসম্পর্ক অটুট রাখার স্বার্থে উপজেলা প্রশাসন নিয়মিত বাগান পরিস্থিতি মনিটরিং করবে।
মালিক পক্ষ এবং শ্রমিক পক্ষ উপজেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে উদ্যোগ নিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তিতে সহায়তা করায় আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব সত্যজিত রায় দাশ বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন,২০১৩ অনুযায়ী শ্রমিকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকটি বিষয়ে সুনজর রাখার জন্য মালিকপক্ষকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন।