মোঃইব্রাহিম নোয়াখালী প্রতিনিধি
মন্দিরে হামলা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এটি সুপরিকল্পিত ঘটনার অংশ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।শনিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে ক্ষতিগ্রস্ত মন্দিরগুলো পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।তিনি বলেন, এটি কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এটি সুপরিকল্পিত ঘটনার একটি অংশ। লন্ডনে কাশীবাজার কুটিতে বসে থাকা কথিত প্রধানমন্ত্রীর সন্তানের পরিকল্পনায় বাংলাদেশে ধর্মান্ধ ও ধর্ম ব্যবসায়ী রাজনৈতিক চক্র এই অপকর্ম করে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি আরও বলেন, আমি সচেতন দেশবাসীর প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি পরম ধৈর্য ও সহনশীলতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের সাংসদ মামুনুর রশিদ কিরণ, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. খোরশেদ আলম খান, পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম, বেগমগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহনাজ বেগম, কেন্দ্রীয় বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যকরী সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন বাবরসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা।
এর আগে, শুক্রবার রাতে চৌমুহনী পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন। বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামসুন নাহার স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শনিবার ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে। এসময়ের মধ্যে স্থানীয় সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে নিষেধাজ্ঞার বাহিরে ছিল দূরপল্লার যানবাহন।
এদিকে, শনিবার ভোরে চৌমুহনীর ইসকন মন্দিরের পুকুর থেকে প্রান্ত চন্দ্র দাস (২০) নামে একজনের লাশ উদ্ধার করে মন্দিরের লোকজন। প্রান্ত চাটখিল উপজেলার হাঁটপুকুরিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজ্জাকপুর গ্রামের নকুল চন্দ্র দাসের ছেলে। শুক্রবার মন্দিরে হামলার সময় তাকে পিটিয়ে হত্যার পর পুকুরে ফেলে দেওয়া হয় বলে দাবী করেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।অন্যদিকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রশাসনের ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে প্রান্তের মরদেহ নিয়ে চৌমুহনী পৌর শহরের প্রধান সড়ক ছাড়াও বিভিন্ন মন্দিরের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। এক পর্যায়ে তাদেরকে শান্ত করতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ চেষ্টা করে। বিক্ষোভকারীরা চৌমুহনী বড়পুল সংলগ্ন ফেনী-চৌমুহনী আঞ্চলিক মহাসড়কে অবরোধ করে।