মোংলা বন্দরের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

প্রকাশিত: ৭:১৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১, ২০২০

আলী আজীম,মোংলা পতিনিধিঃ

মোংলা বন্দরের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বল্প পরিসরে উদযাপন করা হয়েছে বন্দরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।

মঙ্গলবার(১ডিসেম্বর) সকালে বন্দরের প্রশাসনিক ভবন চত্বরে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কর্মসূচীর শুভ সূচনা করেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান।

এ সময় তিনি বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সকল ব্যবসায়ীদেরকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানিয়ে সংক্ষিক্ত বক্তব্য রাখেন। এরপর বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে বের হওয়া বর্ণাঢ্য রালী বন্দর এলাকা প্রদক্ষিণ করে। পরে বন্দরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলন। সংবাদ সম্মেলনে মোংলা প্রেস ক্লাব ও মোংলা বন্দর প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান বন্দরের বর্তমান চলমান ও ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনা সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন। এ সময় তিনি বলেন, পদ্মা সেতু, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মোংলা-খুলনা রেল লাইন ও খান জাহান আলী বিমান বন্দরের কার্যক্রম দৃশ্যমান হওয়ার পাশাপাশি বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ব্যাপক কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। তিনটি প্রকল্প (ভবিষ্যৎ প্রকল্প) অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন আর বিবেচনাধীন (ভবিষ্যৎ প্রকল্প) রয়েছে ১৩টি প্রকল্প।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভিষণ ২০২১ বাস্তবায়নে মোংলা বন্দর এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। এর প্রমাণ হলো গত নভেম্বর মাসে মোংলা বন্দরে ১০৬টি জাহাজের আগমন ঘটেছে। যা ৭০ বছরের ইতিহাসে রের্কড সৃষ্টি করেছে। এর আগে অক্টোবরে ৭০টি এবং সেপ্টেম্বরে ৮৩টি জাহাজ এ বন্দরে ভিড়ে। বিগত বছরগুলোতে যেখানে মোট ৭০/৮০টি জাহাজ আসতো, এখন তা বৃদ্ধি পেয়ে প্রতিমাসেই তার চেয়েও বেশি জাহাজ আসছে। এটা সম্ভব হয়েছে বন্দরের ক্রমাগত উন্নয়নের জন্যই। বন্দরের সার্বক্ষনিক সেবাদান ও বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধার কারণে ব্যবসায়ীরা এ বন্দর ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছেন।

আগামীতে এ বন্দরে ৩ হাজার জাহাজ, ৩০ হাজার গাড়ী, ৮ লাখ টিইউজ কন্টেইনার ও ৪ কোটি মেট্টিক টন কার্গো হ্যান্ডেলিং করার সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধিসহ বন্দরের সার্বিক অবকাঠামো নির্মাণ ও আধুনিকায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন) ইয়াসমিন আফসানা, সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, পরিচালক (প্রশাসন) গিয়াস উদ্দিন, হারবার মাষ্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন, প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো: সিদ্দীকুর রহমান, পরিচালক (ট্রাফিক) মো: মোস্তফা কামাল, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের সভাপতি সাইজউদ্দিন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মো: ফিরোজসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালের ১লা ডিসেম্বর চালনা বন্দর দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর হিসেবে যাত্রা শুরু করে। এরপর ১৯৫৪ সালের ২০ জুন চালনা থেকে সরিয়ে মোংলায় স্থানান্তার করা হয়। ভৌগলিক দিকে দিয়ে তৎকালীন চালনা বন্দর ছিল খুলনা জেলায় আর বর্তমান মোংলা বন্দর বাগেরহাট জেলায় অবস্থিত।




error: Content is protected !!