পুরুষের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি নারীর চেয়ে বেশি। আর জিনগত পার্থক্যের কারণেই পুরুষদের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
‘জার্নাল অব দ্য ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট’য়ে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়।
গবেষণা বলছে, নারীদের চেয়ে পুরুষের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। কারণ নারী ও পুরুষের ‘ডিএনএ’য়ের পার্থক্য রয়েছে।
তারা বলছেন, লিঙ্গ নির্ধারক ‘ওয়াই-ক্রোমোজোম’, যা শুধুই পুরুষের থাকে, তার নির্দিষ্ট কিছু জিন তাদের কার্যক্ষমতা হারালে পুরুষের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।৯ হাজার ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর জিনের কার্যক্ষমতা নিয়ে গবেষণা চলানো হয়। গবেষণায় দেখা যায়, বিভিন্ন ধরনের কোষে থাকা ‘ওয়াই
ক্রোমোজোম’য়ের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ জিন তাদের কার্যক্ষমতা হারানোর কারণে পুরুষের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।
গবেষণার লেখক, স্পেনের ‘বার্সেলোনা ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল হেলথ’য়ের হুয়ান রামোন গঞ্জালেজ বলেন, ভ্রণের লিঙ্গ নির্ধারণের ক্ষেত্রে ‘ওয়াই ক্রোমোজোম’ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে কিছু পুরুষের কোষ থেকে এই ‘ওয়াই ক্রোমোজোম’ পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন যায়। ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।
‘ওয়াই ক্রোমোজোম’য়ের ছয়টি জিন মূলত ‘সেল-সাইকেল রেগুলেশন’ নিয়ন্ত্রণ করে, যার অবর্তমানে তৈরি হয় ‘টিউমার’। গবেষণা মতে, নারী ও পুরুষের মধ্যকার জৈবিক পার্থক্য বোঝা ক্যান্সারের প্রতিরোধ ও প্রতিষেধনের উপায় বের করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গঞ্জালেজ বলেন, ‘পুরুষের ক্যান্সারের ঝুঁকি নারীদের তুলনায় বেশি হওয়ার পাশাপাশি পুরুষের চিকিৎসা পদ্ধতিও তুলনামূলক বেশি যন্ত্রণাদায়ক।’ গবেষণার প্রধান আলাইহান্দ্রো কাসেরিস বলেন, পুরুষের কাজের ধরনের কারণে তাদের ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদানগুলোর সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর ডাক্তারের পরামর্শ নিতে চান না।
গবেষণায় আরও জানা যায়, জৈবিক বিভিন্ন বিষয়ের কারণেও পুরুষের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি। জৈবিক দিক হলো ‘ওয়াই ক্রোমোজোম’, যার কারণেই একজন মানুষ পুরুষ হিসেবে জন্মায়। আর দূষিত উপাদানের প্রভাব, তামাক ও অন্যান্য মাদকদ্রব্য সেবনও ‘ওয়াই ক্রোমোজোম’য়ের ক্ষতির কারণ হতে পারে।