না ফেরার দেশে চলে গেলেন বানিয়াচংয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আমীন চৌধুরী৷ এমপি আবু জাহির সহ বিভিন্ন মহলের গভীর শোক প্রকাশ৷
এম. মুজিবুর রহমান॥হবিগঞ্জ থেকে ফিরেঃ
হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচংয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপজেলা চোয়ারম্যান ও শহরের নিউ মুসলিম কোয়ার্টারের বাসিন্দা সবার প্রিয়মুখ মোঃ নূরুল আমিন চৌধুরী আর নেই গত ৩ এপ্রিল শনিবার রাত প্রায় সাড়ে ৮ টায় নূরুল আমীন চৌধুরী ভারতের দিল্লি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল (৭৫) বছর। তিনি মা, স্ত্রী, ১ ছেলে, ১ মেয়ে, ৪ ভাই, ৪ বোন সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নুরুল আমিন চৌধুরী দীর্ঘদিন যাবৎ লিভার সিরোসিস সহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভোগছিলেন। একাধিকবার তিনি ভারতে চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। মাস খানেক পূর্বে পুনরায় চিকিৎসার জন্য ভারত যান। সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় গত ৩ এপ্রিল তিনি মারা যান। মরহুমের জানাযার নামাজ আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় হবিগঞ্জ শহরের চান মিয়া টাউন জামে মসজিদে অনুষ্টিত হয়েছে।
এতে দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণী পেশার সহস্রাধিক মুসল্লি সহন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ
মরহুমের জানাজার নামাযে উপস্থিত ছিলেন৷ অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও হবিগঞ্জ -৩ আসনের সংসদ সদস্য জননেতা এডভোকেট আবু জাহির, সাধারণ সম্পাদক ও নবীগঞ্জ উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী,বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আলহাজ্ব জি’কে গউছ, হবিগঞ্জ পৌরসভার নবনির্বাচি মেয়র আতাউর রহমান সেলিম, সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান,বানিয়াচংয়ের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন খান,ইউপি চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী মোমিন,রোটারী ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক বাংলাদেশ গভর্নর স্পেশাল এইড আলহাজ্ব রেজাউল মোহিত,কাগাপাশা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ এরশাদ আলী, আউশকান্দি র’প উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান,
মরহুমের ভাগিনা ও সিঙ্গার বাংলাদেশ লিঃ শায়েস্তাগঞ্জ ব্রাঞ্চের ম্যানেজার হুমায়ুন কবির মাসুম,
প্রমুখ৷এদিকে তিনির মৃত্যুতে মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর একমাত্র ছেলে বাবার জন্য সকল শ্রেণী পেশার মানুষের নিকট দোয়া কামনা করেছেন৷ পরে মরহুমের
গ্রামের বাড়ি বানিয়াচং উপজেলার কাগাপাশা ইউনিয়নের
মকা গ্রামে বিকেল সাড়ে ৩টায় দ্বিতীয় জানাযা নামাজ শেষে তাঁকে দাফন করা হয়৷
তিনি বানিয়াচং উপজেলার ৬নং কাগাপাশা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বচিত হন। পরে হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ সরকারের আমলে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রথা চালু হওয়ায় তিনি বানিয়াচং উপজেলার প্রতিষ্ঠাকালসহ ২ বার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করে ২৩৭ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তর গ্রাম বানিয়াচংয়ের সর্বস্তরের মানুষের কাছে প্রিয় একজন মহৎ ব্যক্তি ও সাদামনের মানুষ হিসেবেই অতি সুপরিচিত ছিলেন৷
এদিকে তিনির মৃত্যুতে তাঁর জন্মস্থান বানিয়াচংউপজেলা সহ হবিগঞ্জ জেলাব্যাপী বিভিন্ন মহলে শোকের ছাযা নেমে এসেছে এবং
বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনের পাশাপাশি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপণ করেছেন, বানিয়াচং-আজমীরিগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট আব্দুল মজিদ খাঁন, বানিয়াচং উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী,
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বশির আহমেদ সহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করে শোক সন্তপ্ত পরিবার বর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপণ করেছেন৷