সম্পাদকীয়ঃ আমরা আল্লাহর বান্দা ও রাসূল (সা.)-এর উম্মত। আমাদের উচিত রোজার মাসে আল্লাহকে বেশি বেশি ভালোবাসা। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এই রমজানে দিনের বেলায় সকল খাবার ও পানীয় থেকে বিরত থাকা। সেই সঙ্গে এ মাস শেষে আগামী এগারটি মাসও আল্লাহকে ভয় করে জীবন অতিবাহিত করা। সকল কাজে ও কথায় আল্লাহর আদেশ ও নিষেধকে প্রাধান্য দেয়া। নিজেকে সমাজে মুত্তাকি হিসেবে পেশ করা। তাহলেই এই রোজা থেকে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্র উপকৃত হবে। মোবারক হবে এই রমজান।
রমজানের শিক্ষা
১. নিজেকে আল্লাহর একজন একনিষ্ঠ বান্দা হিসেবে গণ্য করার চেষ্টা করা।
২. আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ছাড়া জীবনের দ্বিতীয় কোনো লক্ষ্য থাকবে না।
৩. যে কোনো পরিস্থিতিতে যে কোনো সময় আল্লাহর হুকুম মেনে চলার জন্য প্রস্তুত থাকা।
৪. আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান। তিনি সবকিছু শুনেন, দেখেন ও জানেন এই অনুভূতি সর্বদাই অন্তরে জাগ্রত রাখা।
৫. আল্লাহ ছাড়া দুনিয়ার সবকিছুর কৃতিত্ব অস্বীকার করা এবং নিজের ও আশেপাশের সবকিছুর ওপর আল্লাহর হুকুমের কৃতিত্ব প্রতিষ্ঠা করা।
৬. বান্দা ও আল্লাহর মধ্যে একটি একনিষ্ঠ সম্পর্কের সূত্রপাত হয়।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে যেরূপ তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল, যাতে করে তোমরা মোত্তাকি হতে পার।’ (সূরা বাকারা : আয়াত নং-১৮৩)।
সত্যিকারের রোজার সুফল পেতে হলে সব কথায় কাজে সর্ব অবস্থায় আল্লাহর আদেশ নিষেধ পালন করতে হবে। আল্লাহর নিষিদ্ধ কাজ দুনিয়াতে যত লাভের হোক তা বর্জন করতে হবে আবার আল্লাহর আদেশ পালন দুনিয়ার জন্য যত ক্ষতির কারণ হোক না কেন তা পালন করতে হবে।
সাহাবি হজরত সালমান ফারসি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, শাবান মাসের শেষ দিন রাসূল (সা.) আমাদের উদ্দেশ্যে ভাষণদান কালে বলেন, ‘হে লোক সকল তোমাদের নিকট সমুপস্থিত একটি মর্যাদাপূর্ণ এবং বরকতপূর্ণ মাস। এতে রয়েছে এমন একটি রাত যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। এ মাসে আল্লাহ সাওম ফরজ করেছেন এবং রাতে দীর্ঘ সালাত নফল করেছেন। যে ব্যক্তি এ মাসে ১টি ফরজ আদায় করলো সে যেন অন্য মাসে সত্তরটি ফরজ আদায় করলো। যে ব্যক্তি এ মাসে ১টি নফল কাজ করলো সে যেন অন্য কোন মাসের ফরজ কাজ করলো। এ মাস ধৈর্যের মাস। ধৈর্যের বিনিময় হচ্ছে জান্নাত। এ মাস সহানুভূতি প্রদর্শনের মাস।
-মিশকাত শরিফ