ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হাট বাজার গুলোতে কামারের বেড়েছে কর্ম ব্যস্ততা
আসলাম উদ্দিন জেলা প্রতিনিধি দিনাজপুরঃ
পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি সহ বিভিন্ন হাট বাজার গুলোতে কামারের বেড়েছে কর্মব্যস্ততা।
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হলো পবিত্র ঈদুল আযহা।পশু কুরবানী দেওয়া হয় আল্লাহ্র সন্তুষ্ঠির লাভের জন্য। তাই পশু কুরবানী দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ছুরি চাকু চা পাতি হাসুয়া বটি বিভিন্ন প্রয়োজনীয় লোহার তৈরী জিনিষ পত্র এসব খুবই চাহিদা বাড়ে।
কয়েক টি বাজার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় কামারের দোকান গুলোতে কজের প্রচন্ড ভীড়।
উপজেলার মংলা বাজারে গিয়ে কর্মকার সুশান্ত মন্ডলের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় কুরবানী ঈদের ১০/১৫দিন পুর্বে আমাদের দোকান গুলোতে কাজের চাপ বেড়ে যায়।
দিনরাত পরিশ্রম করে আমরা তাও কাস্টমারদের চাহিদা পূরণ করতে পারিনা।দোকানে নতুন লোক নিয়োগ করতে হয়।
কর্মকার সুশন্ত মন্ডল বলেন করোনা ভাইরাসের কারনে আমাদের অবস্থা খুবই শোচনীয় দোকানে কাস্টমার ছিলইনা লক ডাউনে আমরা
কর্মকারেরা কোন রকম বেছে আছি ছেলে পুলে নিয়ে।
কুরবানীঈদকে সামনে রেখে গত কয়েক দিনহতে দোকানে কাস্টমার আসতে শুরু করেছে তবে গত বছরের তুলনাই কম।
তবে ঈদের এখন ও কয়েক দিন সময় আছে তো আশা করছি কাজ কর্ম হবে।
হাকিমপুরের ডাঙ্গা পাড়া বাজরের কামার জুয়েল বলেন করোনার কারনে দোকান ঠিকমত খুলতে পারি নাই খুললেও কাজ কর্ম ছিল না খুব এমনিতেই ভাইরাসের ভয়ে লোকজন তেমন বাজারে আসেই না। গত ৪/৫দিন হতে দোকানে কাস্টমার আসতে শুরু করেছে।সামনে কুববানী ঈদ আশা করছি কাজ কর্ম হবে।
দোকানে বেশীর ভাগ কাস্টমার পুরাতন দা বটি চাকু ছুরি শান দিতে আসছে কেউ কেউ নতুন দা ছুড়ি তৈরীর ওয়াডার দিচ্ছে। তাই এসময় আমাদের কর্ম ব্যস্ততা বেড়ে যায়।
ঈদের পুর্বের রাত পর্যন্ত আমাদের কাজ করে কাস্টমার দের চাহিদা মত জিনিষ পত্র তৈরী করে দিতে হয়।বছরের এই কয়টি দিনই আমরা ব্যস্ত সম য় পার করি।আয় রোজগৃর খুব ভাল হয় বলে তিনি জানান।
হাকিমপুর উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে।