মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা রঙিন ছাতা পেয়ে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস

প্রকাশিত: ১১:২২ অপরাহ্ণ, মে ২৬, ২০২৪
রবিউল ইসলাম সুইট, হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
মাদ্রাসার মাঠজুড়ে রঙিন ছাতা মাথায় ৪ শত শিক্ষার্থী। দৃশ্যটি আশপাশের লোকজনের জন্য একেবারেই নতুন। ওই মাদ্রাসার ৪’শ জন শিক্ষার্থী নিয়মতি মাদ্রাসায় যাতায়ত করে রঙিন ছাতা উপহার পেয়েছেন। বাঁধভাঙা আনন্দে মাঠজুড়ে ছাতা মাথায় শিক্ষার্থীরা হাঁটছে। শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা ছাতা পেয়েছি। সবাই অনেক খুশি হয়েছি। ছাতা পেয়ে অনেক বেশি আনন্দিত।
চলমান দাপদাহ ও ঝড় বৃষ্টিতে শিক্ষার্থীদের কষ্টের কথা মাথায় রেখে দিনাজপুরের হিলি হাকিমপুর উপজেলার ছাতনী রাউতারা ফাযিল মাদ্রাসার ৪ শ’ শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাতা বিতরণ করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে ছাতনী রাউতারা ফাযিল মাদ্রাসাটির নিজস্ব অর্থায়নে প্রথম শ্রেণি থেকে ফাযিল পর্যন্ত নিয়মতি মাদ্রাসায় যাতায়াতকারী শিক্ষার্থীদের হাতে ছাতাগুলো তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ হারুন।
এসময় সেখানে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বাবু মল্লিক, ওই প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি ও  পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত, পৌর আওয়ামীলীগের সধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ টুকু, অধ্যক্ষ মাওলানা নুরুল ইসলামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
ছাতনী রাউতারা ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নুরুল ইসলাম বলেন, চলমান তাপদাহের কারণে মাদরাসায় আসতে শিক্ষার্থীরা কষ্ট পায়। তাই তাদের কষ্টের কথা চিন্তা করে মাদরাসার নিজস্ব অর্থায়নে ৪ শ শিক্ষার্থীর মাঝে ছাতা বিতরণ করা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে। প্রথম শ্রেণি থেকে ফাযিল পর্যন্ত যে সকল শিক্ষার্থীরা নিয়মতি মাদ্রাসায় যাতায়াত করে শুধু সেই শিক্ষার্থীদের মাঝেই ছাতা বিতরণ করা হয়েছে।
ওই মাদরাসার গভনিং বডির সভাপতি ও পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত জানান, এবারের তাপদাহ অতীতের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। তাই সরকার তীব্র তাপদাহের কারণে স্কুল-কলেজ ছুটি ঘোষণা করছেন। তাছাড়া দুরদূরান্তের শিক্ষার্থীদের মাদরাসায় আসতে কষ্ট হচ্ছিল। তাই প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও গভর্নিং বডির সদস্যরা মিলে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশীদ হারুন বলেন, কমলমতি শিক্ষার্থীরা অনেক সময় বাসায় বলে আজকে প্রচন্ড দাপদাহ বা বৃষ্টি হচ্ছে এমন অজুহাত দিয়ে থাকে। শিক্ষার্থীরা এই ছোটখাট অজুহাত দিয়ে অনেক সময় স্কুল ফাঁকি দেয়। আজকে এই ছাতা দেওয়ার পর তারা আর এমন অজুহাত দিয়ে স্কুল ফাঁকি দিবে না বলে আমি মনে করছি। আর এতে করে শিক্ষার্থীরা স্কুল মুখি হবে।



error: Content is protected !!