ফুটবল বিশ্বে লাল সবুজের পতাকা উড়বে। বাংলাদেশও একদিন ফুটবল বিশ্বকাপে শক্তি প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে খেলবে। এভাবেই স্বপ্ন দেখেন সুইডেন প্রবাসী বাংলাদেশি লেখক রহমান মৃধা। তাঁর সদ্য প্রকাশিত ‘হৃদয়ে বাংলাদেশ’ বইটি বাংলাদেশে ফুটবল খেলোয়াড় তৈরির প্ল্যাটফর্ম ‘ফুটবলারস হান্ট একাডেমি’র জন্য উৎসর্গ করেছেন।
তাঁর বইটি ক্রয়ের মাধ্যমে যে টাকা আসবে সেটা তিনি এই একাডেমির উন্নয়নে দেবেন। এছাড়া যারা এই একাডেমির সদস্য হবেন তাদেরকে বিনামূল্যে বই উপহার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে রহমান মৃধা।
এই মুহূর্তে দূর পরবাস থেকে তিনি নহাটার কথা ভাবছেন, ৬৮ হাজার গ্রামের কথা ভাবছেন। মাগুরার কথা ভাবছেন, ভাবছেন ৬৪টি জেলার কথা। নতুন প্রজন্মের কথা ভাবছেন, সোনার বাংলার কথা ভাবছেন। মানুষের কথা ভাবছেন। নবগঙ্গা, বুড়িগঙ্গা নদী আর ইছামতীর বিলের আশেপাশে বসে তোমরা কেউ হয়ত তাঁর এই লেখা পড়বে সে তোমাদের কথা ভাবছেন।
হয়তো তোমাদের মাঝে অনেকেই একদিন অনেক বড় হবে আর পরবর্তী প্রজন্মের জন্য তাঁর মত করে এমন করে আশার কথা লিখবে। তাঁর সদ্য প্রকাশিত ‘হৃদয়ে বাংলাদেশ’ বইয়ে শিক্ষা, প্রযুক্তি, খেলাধুলা, দেশ, বিদেশসহ নানান বিষয়ের ওপর আশার কথা তুলে ধরেছেন।
We love sports and we love football. We think sports teaches us some of the most important values in life. It teaches us fair play, never make excuses and to always find a solution and try to become better.
At footballer hunt academy we share a passion for making other people achieve their dreams. We know that in order to achieve something in life there is a lot of hard work and dedication that needs to be put in whatever you choose to do.
You need to surround yourself with people you truly trust in the right environment. We also know that the footballer hunt academy will not build champions in life. Champions are made from the inner passion and the desire to become a better day in and day out.
We have a goal to be an outstanding base for player development where all players will be given the maximum afford to reach their full potential and to take the step from good to better. Not only on the football field but more importantly off the field.
এই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য দরকার প্রশিক্ষণের এবং এ প্রশিক্ষণ পেতে হলে আনতে হবে দেশ-বিদেশের ফুটবলের ওপর যারা পারদর্শী, তাদেরকে। দরকার কিছু অর্থের। একের বোঝা দশের লাঠি। তাই সবাই যদি চেষ্টা করি জয়ী আমরা হবোই।
সবচেয়ে মজার জিনিস হলো, পরের সন্তানদের জন্য কিছু করতে শেখা। আমরা সারাজীবন শুধু নিজেদের সন্তানের জন্যই সব কিছু করি, যে কাজ সবাই করে বা করতে পারে। কিন্তু অন্যের সন্তানের জন্য কিছু করতে পারার কথা ভেবেছেন কি কখনও কেউ? আসুন না সবাই মিলে তেমনি একটি সুন্দর উদ্যোগ নেই।
শিশুর জন্মের শুরুতে দরকার শিশুদের জন্য অনুকরণ এবং অনুসরণের একটি জায়গা। সে জন্য থাকা চাই শিশুদের জন্য পেশাগত মনোবৈজ্ঞানিক, সমাজকর্মী এবং ভালো ট্রেইনার। সেখানে আধুনিক সরঞ্জামাদির সাহায্যে বিজ্ঞানমনস্ক দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে খেলাধুলার জন্য শিক্ষাদান ও প্রশিক্ষণ প্রদান চলবে।
যেখানে মননশীলতাচর্চা ও বৈশ্বিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবে শিশুদের প্রারম্ভিক জীবন। পেশাগত জ্ঞান বৃদ্ধি ও যুগোপযোগীকরণে সহায়তা দান করবে। এসব প্রস্তুতির জন্য সহায়ক মাধ্যম হচ্ছে প্রশিক্ষণ এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। আছে কি বাংলাদেশের শিশুদের জন্য তেমন একাডেমি বা এমন ট্রেনিং বা শিক্ষাপদ্ধতি চালু, যেখানে চর্চা হচ্ছে এমন মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা?
আছে বা সেভাবে তৈরি হচ্ছি কি তেমন খেলোয়াড় যে পারবে মোকাবেলা করতে ভবিষ্যতের ফুটবল খেলোয়াড় হয়ে লাল সবুজের পতাকা উড়াবে বিশ্বকাপ ফুটবলের মাঠে? তাহলে কি আমরা যেভাবে আছি ঠিক সেভাবেই থাকব? নাকি চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন প্রজন্মকে শুধু বাংলাদেশি নয় গোটা বিশ্বের সেরা ফুটবলার হিসাবে গড়ে তুলব?
বাংলাদেশের ফুটবলকে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা থেকে তৈরি দেশের সব শ্রেণীর মানুষকে একসঙ্গে সম্পৃক্ত করার প্ল্যাটফর্ম ‘ফুটবলারস হান্ট একাডেমি’র যাত্রা। এই একাডেমির জন্য সুইডেনের প্রবাসী রহমান মৃধার সদ্য প্রকাশিত বই “হৃদয়ে বাংলাদেশ” কিনে আপনিও এই নব গঠিত একাডেমির পাশে দাঁড়াতে পারেন। সেইসঙ্গে পারেন একাডেমির সঙ্গে দেশের ফুটবলের জন্য কাজ করতে।
ভালো ফুটবলার পেতে হলে এবং মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটাতে হলে দরকার এই ফুটবলার হান্ট একাডেমির। ফুটবলার হতে হলে ফুটবল খেলতে হবে আর ফুটবল খেলতে হলে চিন্তাচেতনায় পরিবর্তন আনতে হবে। তবেই সম্ভব হবে ভালো ফুটবলার পাবার।
বাংলাদেশ ফুটবলার হান্ট একাডেমি দিতে পারে লাল সবুজের হয়ে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলার সুযোগ করে। তাই ফুটবলে বিরাট পরিবর্তনের জন্য চাই সংশ্লিষ্ট সবার সক্রিয় অংশগ্রহণ। আমি ১০০% নিশ্চিত আমরা মজা খুঁজে পাবো এ কাজে। আমরা গড়ে তুলবো নতুন বাংলাদেশ।
আমরা শেয়ার করবো আমাদের সাফল্য সবার সঙ্গে। কারণ শেয়ার ভ্যালুর মূল্য অনেক এবং তা হবে মানবতাবোধের শ্রেষ্ঠ উপহার। ওয়াও! ভাবতেই গা শিউরে উঠছে। “একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার সারা বিশ্বের বিস্ময় তুমি আমার অহংকার।”