করোনার কারণে হিলি স্থল শুল্ক ষ্টেশন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ, চলতি অর্থ বছরের কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায়ে বঞ্চিত
রবিউল ইসলাম সুইট, হিলি, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
করোনা ভাইরাস সংক্রামণ মোকাবেলায় সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি ও অস্থায়ী লকডাউন থাকায় ভারতের সঙ্গে দুই মাসের অধিক সময় হিলি স্থল শুল্ক ষ্টেশনে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় চলতি অর্থবছরের কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায় করতে পারেনি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। বন্দরে কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকলে গত দুই মাসে ৭৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের সম্ভবনার কথা জানান কতৃপক্ষ। তবে আবারও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হলে সরকারের রাজস্ব আদায়ে দ্রুত পন্য খালাস কার্যক্রম পরিচালনা করবেন বলে জানান কাস্টমস কর্মকর্তা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বেধে দেওয়া ২৭১ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছিল রংপুর কাষ্টমস কমিশনারেটের আওতাধীন হিলি স্থল শুল্ক সার্কেলের কর্মকর্তাবৃন্দ।
এ বিষয়ে হিলি কাস্টমস সহকারী কমিশনার আব্দুল হান্নান জানান, মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রামণ মোকাবেলায় সরকার অস্থায়ী লকডাউন ও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় গত দুই মাসের অধিক হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় চলতি অর্থ বছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে বেধে দেওয়া রাজস্ব আদায়ের লক্ষমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। সব থেকে বেশি রাজস্ব আদায় হয় এপ্রিল, মে এবং জুন মাসে। কারণ রমজান মাস এবং কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে এই বন্দর দিয়ে মসলা জাতীয় পণ্য জিরা, আদা, বাদাম সহ অনেক পণ্য অন্য সময়ের তুলনায় বেশি আমদানি হয়ে থাকে। ঠিক এই সময়ে দেশে মহামারীর কারণে পণ্য আমদানি না হওয়ায় রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
তিনি আরও জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম চালু করার জন্য আমরা ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। অল্প দিনের মধ্যেই আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে। সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে আমদানি রপ্তানি শুরু হয়েছে।