নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে লিজকৃত পুকুরে
অবৈধভাবে মাছ ধরার অভিযোগ হয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার ওমরপুর
গ্রামের মৃত আজগর আলীর ছেলে মাহমুদ আলী ১নং বুড়ইল ইউনিয়নের
কৌহলী মৌজার ৩৪৯ দাগে সরকারি খাস খতিয়ানভূক্ত ১ একর ২৩ শতক
পরিমাণের একটি পুকুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয় হতে ২৩
হাজার ৭ শ’ টাকায় ইজারা গ্রহণ করে। এছাড়াও সে ২০% ভ্যাট প্রদান
করেছে। মাহমুদ আলী যথারীতিভাবে পুকুরটি লিজ গ্রহণের পর পুকুরে
বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে আসছে। এমতাবস্থায় গত ২৪
ডিসেম্বর উক্ত পুকুরে জাল নেমে দিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে দেখে পুকুরে
তেমন মাছ নেই। পরে জানতে পারে যে, গুন্দইল গ্রামের মিলন হোসেনের
ছেলে রাজিব হোসেন (২৫) পুকুরে জাল নেমে দিয়ে আনুমানিক ৩০/৩৫
মন মাছ ধরে বিক্রয় করেছে। এতে মাহমুদ আলীর আনুমানিক ২ লাখ ৩০
হাজার টাকার মাছ খোয়া গেছে। এ বিষয়ে তিনি থানায় একটি
অভিযোগ করেছে। থানার এসআই শাহ সুলতান মো. হুমায়ন কবির
অভিযোগটি তদন্ত করছেন। ক্ষতিগ্রস্থ মাহমুদ আলী বলেন, আমি
সরকারি নিয়মানুযায়ী সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয় হতে
পুকুরটি লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছি। বিবাদী আমার লিজকৃত
পুকুরে অবৈধভাবে মাছ ধরেছে। এতে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।
তিনি আরো বলেন, আমি বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের উপজেলা
শাখার সদস্য সচিব। আমার প্রতিপক্ষ রেজাউল করিম ও আনিছুর রহমান
বিবাদীকে অবৈধভাবে মাছ ধরার মদত দেয়। আমি এর প্রতিকার চাই।