পাংশাতে নির্মানধীন মডেল মসজিদের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে

প্রকাশিত: ৭:০১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১

মিঠুন গোস্বামী রাজবাড়ীঃ

সারাদেশের ন্যায় রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলাতেও তৈরি হচ্ছে তিন তলা বিশিষ্ট মডেল মসজিদ । ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বলছে এই বছরের মধ্যে কাজ শেষ করে নামাজের উপযোগী করতে পারবো।

রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে পাংশা সরকারি কলেজর পাশে নির্মানধীন মডেল মসজিদে গিয়ে দেখা যায় পুরোদমে কাজ চলছে। কাজের মান নিয়ে সন্তুষ্ট স্থানীরা।

নির্মানধীন মডেল এই মসজিদে পাশের চায়ের দোকানদার মোঃ আকমল হোসেন বলেন, আল্লাহর ঘর মসজিদ এটি যারাই নির্মান করুক তাদের মনে রাখতে হবে এই জাইগায় ছলচাতুরী করা যাবে না। আর এই মসজিদের পাশে আমার দোকান হওয়ায় আমি সব সময় এই কাজ গুলো দেখি, এই কাজে ব্যবহিত ইট বালু পাথর রড এছাড়াও ইলেকট্রনিক যে সকল জিনিস ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে আমি সন্তুষ্ট।

পাংশা নির্মানধীন মডেল মসজিদের ইঞ্জিনিয়ার মাহাবুব রহমান বলেন, এই কাজের মুল ঠিকাদার পাবনার BBN-MWM(JV) প্রতিষ্ঠান।তবে ওই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মেসার্স ওদুদ মন্ডল নিয়ে কাজ করছে। এই কাজের নির্মানাধীন ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ কোটি ১ লক্ষ ৫ হাজার ২ শত টাকা।

এই মসজিদে কি কি থাকবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিচ তলায় থাকবে গাড়ি পারর্কিং এর ব্যবস্থা, লাশ গোসল, জানাজা, ইমাম ট্রেনিং সেন্টার, কিচেন, ডাইনিং সহ প্রতিবন্ধীদের জন্য নামাজ পড়ার ব্যবস্থা থাকবে। দ্বিতীয় তলায় থাকবে পুরাটাই নামাজের ব্যবস্থা সহ পশ্চিম পাশে থাকবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অফিস। এছাড়াও তৃতীয় তলায় থাকবে নারী পুরুষ দের জন্য আলাদা আলাদা নামাজের ব্যবস্থা। থাকবে হেবজ্য খানা, মকতব খানা, পশ্চিম পাশে ইমাম, মোয়াজ্জেম, খাদেমদের জন্য থাকার ব্যবস্থা।

উল্লেখ্য, সারাদেশে ৫৬০ টি মডেল মসজিদ করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যার মধ্যে ৫০ টি মসজিদের উদ্ভোদন করা হয়েছে। যার মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৭২২ কোটি টাকা।

এ সকল মসজিদ ৩টি ক্যাটাগরিতে প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও উপকূল এলাকায় মসজিদ তৈরি হচ্ছে। যার প্রতিটি মসজিদের দেখভাল করছে ইসলামিক ফাউণ্ডেশন।

জেলা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রতিটি মসজিদ তৈরিতে ব্যয় হচ্ছে ১৫ কোটি ৬১ লাখ ৮১ হাজার টাকা। উপজেলা পর্যায়ে ১৩ কোটি ৪১ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং উপকূলীয় এলাকায় ১৩ কোটি ৬০ লাখ ৮২ হাজার টাকা। শুরুতে এই প্রকল্পে সৌদি সরকারের অর্থায়নের কথা থাকলেও পরে তারা করেনি। এখন পুরো প্রকল্পটিই সরকারের অর্থে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন। মসজিদ গুলো ৪০ শতাংশ জমির ওপর জেলা পর্যায়ে চার তলা, উপজেলা পর্যায়ে তিন তলা এবং উপকূলীয় এলাকায় চার তলা ভবন। মসজিদে একই সঙ্গে ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসাবে কাজ করবে। নারীদের আলাদা নামাজ পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
উপজেলা পর্যায়ের মসজিদে ৯০০ এবং জেলা পর্যায়ের মসজিদে এক হাজার ২০০ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারবেন।




error: Content is protected !!