বন্যায় পাহাড়ি ঢলে তাহিরপুরে ভেসে আসা কয়েক কোটি টাকার বালু পাথর চুনাপাথর উন্মুক্ত নিলামে উঠছে আজ
আবু জাহান তালুকদার:সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সম্প্রতি পাহাড়ি ঢলে বন্যার পানিতে ভারতের মেঘালয় হতে সুনামগঞ্জের তাহিরপুওে বিভিন্ন সীমান্তছড়া দিয়ে ভেসে আসা কয়েক কোটি মুল্যের বালু পাথর ও চুনাপাথর আজ মঙ্গলবার উন্মুক্ত নিলামে বিক্রয় করা হবে।
সোমবার রাতে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) এ সংক্রান্ত নিলাম বিজ্ঞপ্তি দাফতরিক কাজে ব্যবহ্নত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করেন।,
সোমবার রাতে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি সুত্রে জানা যায়, সম্প্রতি অতিবৃষ্টি পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানিতে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের চাঁনপুর নয়াছড়া, বুরুঙ্গাছড়া, বড়ছড়া, লাকমা, চারাগাঁও, কলাগাঁও রন্দুছড়া সহ বিভিন্ন সীমান্তছড়া দিয়ে ভারতের মেঘালয় হতে ভেসে আসে কয়েক কোটি মুল্যের বালু পাথর ও চুনাপাথর।
এসব বালু , পাথর ও চুনাপাথর খনিজ সম্পদ সীমান্ত জনপদের বিভিন্ন জনবসতি, ফসলীজমিতে মাছ চাষের নালায় স্তুপিকৃত ভাবে পড়ে থাকায় স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে জনস্বার্থে দ্রুত অসারণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
উপজেলা প্রশানের দেয়া তথ্য অনুয়ায়ী প্রায় ২১ লাখ ৯৬ হাজার ৫৮৪ঘনফুট বালু, ২৬হাজার ২৫০ ঘনফুট পাথর , ১ হাজার ২২১ঘনফুট চুনাপাথর বিভিন্ন ছাড়া দিয়ে ভেসে আসে।
এরই প্রেক্ষিতে উপজেলার টেকেরঘাট নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কার্যালয়ে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় এসব খনিজ সম্পদ উন্মুক্ত নিলামে বিক্রয় করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
নিলামে আগ্রহী ব্যাক্তি নিলাম কমিটির নিকট ১০ হাজার টাকা ফেরতযোগ্য জামানত প্রদানের মাধ্যমে নিলামে অংশ গ্রহন পারবেন।
একই ব্যাক্তি একাধিক নিলামে একাধিক নিলাম প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহন করতে পারবেন।
বাংলাদেশ খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যূরোর মহাপরিচালক(অতিরিক্ত সচিব) মো: জাফর উল্লাহ গত ২৩ জুলাই স্বাক্ষরিত এক স্বারকে এ উন্মুক্ত নিলাম আহবান করেন উপজেলা প্রশাসন।
নিলামে জেলা প্রশাসনের পক্ষে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যূরোর দুজন প্রতিনিধি, পাউবো, উপজেলা প্রকৌশলী, রেভিনিউ ডেপুটি কালেকটরসহ পুলিশ ও বিজিবির দায়িত্বশীল অফিসারগণ উপস্থিত থাকবেন।
সোমবার রাতে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পদ্মাসন সিংহ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, কোন প্রকার সিন্ডিক্যাট প্রথা এড়িয়ে আগ্রহি যে কোন ব্যাক্তি বা ব্যবসায়ী এ উন্মুক্ত নিলামে অংশ নিতে পারবেন।
সোমবার রাতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ গণমাধ্যমকে বলেন, সীমান্ত জনপদে থাকা বিভিন্ন বসতি, পাহাড়ি ছড়া, মাছের নালা ও ফসলীজমিতে স্তুপিকৃত ভাবে পড়ে থাকা এসব খনিজ সম্পদ ( বালু , পাথর ও চুনাপাথর) অপসারণের জন্য স্থানীয় জনসাধারনণের দাবি তুললে জনস্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর নির্দেশনায় এ নিলাম প্রক্রিয়া আহবান করা হয়।
তিনি আরো বলেন, সীমান্ত জনপদের কোন পাহাড়ি ছড়া, ফসলী জমি, পতিত হাওরে থাকা বালূ, পাথর, চুনাপাথর বা খনিজ সম্পদ উক্তালনে কোয়ারী হিসাবে কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে কোন প্রকার ইজারা প্রদান করা হয়নি কেবল ভেসে আসা খনিজ সম্পদ জনস্বার্থে অপসারণের লক্ষ্যে নিলামে বিক্রয় করা হচ্ছে, এ নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে নিলাম প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ করার কোন ধরণের সুযোগ নেই।