হাটহাজারীতে ১০৭বছর বয়সে নুরুল আমিন এখনো কোরআন পড়েন চশমা বিহীনঃ মোওয়াজ্জিনের দায়িত্বেও আছেন তিনি

প্রকাশিত: ১২:০৩ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১১, ২০২১

আসলাম পারভেজ,,হাটহাজারী★
চট্টগ্রামের হাটহাজারীর অন্তর্গত পশ্চিম মেখল ইউনিয়নের প্রবীণ আলেম, মাওলানা নুরুল আমিনের বয়স প্রায় ১০৭ বছর ছুই ছুই এখনো একটি মসজিদে মুয়াজ্জিনের দায়িত্বে আছেন। সবাই অকপটে স্বীকার করে থাকেন যে, এখনো পর্যন্ত মেখল গ্রামে ওনার মত স্পষ্ট ও টেনে আযান খুব কম সংখ্যক যুবকই দিতে পারে। চাঞ্চল্যকর ব্যপার হলো তিনি এখনো চশমা ছাড়া পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন। তিনি বলেন ১৯১৪ সালে তিনি জন্মগ্রহন করেন।

এলাকার লোকজনও ব্যক্তিগত ভাবে দেখিনি। তার এলাকা ছাড়াও আশ পাশের এলাকায় ছোট ছেলে মেয়েদের পাশে পেলে খুব বেশি দেখতে পারেন, যখন দেখা হয় মাথায় হাত বুলিয়ে দেন। ওনার হাতটি যখন মাথায় রাখেন, মাথাটা কেমন জানি শীতল হয়ে যায়। দোওয়াও করে দেন।
হাটহাজারী উপজেলার মেখল ইউনিয়নের ফজলুল রহমান মির্জীর বাড়ির মরহুম আব্দুল জলিল এর পুত্র মোঃ নুরুল আমিন মাতার নাম জমিলা খাতুন। তার ৩ ছেলে ৩ মেয়ে রয়েছে।
দুঃখের বিষয় হলেও সত্যি যে আজ থেকে বেশ কিছুদিন আগে তার সহধর্মিণীকে হারান। কিন্তু তিনার প্রতি ভালোবাসা এখনো বিন্দুমাত্র কমেনি, তাঁকে প্রায় দেখি সহধর্মিণীর কবরের পাশে দাড়িয়ে কান্না জর্জরিত কন্ঠে কোরআন পড়েন। তবে তিনি জেনারেল লাইনে তেমন পড়া লেখা না করলেও আরবিতে কিছু পড়ালেখা করেন। এই মুরুব্বির কিছু অলৌকিক ক্কমতাও রয়েছে আল্লাহর রহমতে।
ওনার পরিবারের প্রত্যেক সদস্য এখনো ওনাকে এতটা সম্মান করেন, তা আসলেই ভালো লাগার মতন। উনি এলাকাবাসীদের ভালোবাসার পাশাপাশি অনেক সম্মান করেন। এতো বয়োবৃদ্ধ একজন মানুষ এলাকার যে কোন ব্যক্তিকে যেভাবে সম্মান দেন, তা দেখে সত্যিই মুগ্ধ হওয়ার মতো। আসলেই জ্ঞানীরা এমনই হয়। ওনার পরিবারের সদস্যদের ব্যপারে না বললে নয়, এত ভাল ওনাদের ব্যবহার সবই ওনার পারিবারিক শিক্ষার ফল। সুন্দর একটি পরিবার সাজিয়েছেন।

তিনি এখনো মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে যেতে সক্ষম। এখনো ভারি কাজগুলো করতে সক্ষম নিজের ইচ্ছায়। কোন কিছুর অভাব নেই । ছেলেরা প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু চলাফেরা কথাবার্তা খুবই সাধাসিধা। বেশিরভাগ মানুষ মামু/ নানা ও কাকু বলে ডাকে। নুরুল আমিনের শুধু একটা আশা তিনি তার গ্রামের বাড়িতে একটা মসজিদ নির্মান করেন তার নিজস্ব জায়গার উপর এই মসজিদ নির্মান করেন। তিনি পায়ে হেটে কষ্টের বিনিময়ে এলাকার প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে মসজিদের জন্য কিছু অর্থ খুজতে বের হয়। এত কষ্ট করে হাটি হাটি পা পা করে তিনি মসজিদের কাজ শেষ করতে ব্যাস্ত। তার এই মসজিদ নির্মানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে দেবে এমন কেউ আছে কি না তার খোজে তিনি সব সময় ব্যাস্ত। মসজিদ নির্মানের অর্থ কালেকশন করার জন্য বাড়ি বাড়ি ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ তিনি চলে আসেন পার্শ্ববর্তী বাড়ি দৈনিক অপরাধ চ্ট্টগ্রাম হাটহাজারী প্রতিনিধির ঘরে সেখান এই বয়োবৃদ্ব নুরুল আমিনকে সাথে নিয়ে চা,নাস্তার ফাকে এই সব তথ্য গুলো বের করে আনা হয়। ।




error: Content is protected !!