হিলি স্থলবন্দরের আমদানি রফতানি কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্তে আলোচনা সভা
রবিউল ইসলাম সুইট, হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় অস্থায়ী লকডাউন শিথিল হওয়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানিসহ বন্দর পরিচালনার বিষয়ে আমদানি-রফতানিকারক, কাষ্টমস কর্মকর্তা, বন্দর কতৃপক্ষ, সি এন্ড এফ এজেন্ট, শ্রমিক নেতাদের নিয়ে আলোচনাসভা অনুষ্ঠতি হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদের সভাপতিত্বে পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের আয়োজনে পোর্টের সভাকক্ষে দুপুর ১২টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনাসভায় হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার আব্দুল হান্নান, ব্যবসায়ী ও উপজেল পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুর রেজা, পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত, পানামা হিলি পোর্টের ম্যানেজার এসএম হায়দার, বাংলাহিলি কাস্টমস সি এন্ড এফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি কামাল হোসেন রাজ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান লিটন, আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পানামা হিলি পোর্টে লিংক এর ম্যানেজার এস এম হায়দার বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘ দুই মাসের বেশি সময় ধরে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সাথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। গত মাস থেকে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক বন্দর ও কাস্টমসের সব বিভাগ খোলা থাকলেও ভারত পণ্য রফতানি না করায় বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রফতানি হয়নি। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে ভারত পণ্য রফতানি শুরু করেছে। অচিরেই হয়তো হিলি স্থলবন্দর দিয়েও পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু হবে। তাই করোনাকালে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে পণ্য আমদানি-রফতানিসহ বন্দরের সব কার্যক্রম পরিচালনা করা যায় সে বিষয় নিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।
আলোচনাসভায় বন্দর সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজন তাদের লোকজনকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কার্যক্রম পরিচালনা করা, অযথা বন্দরের ভেতরে প্রবেশ না করা, সেই সঙ্গে ভারত থেকে যে সব পণ্যবাহী ট্রাক আসবে সে সব ট্রাকের চালক ও সহকারীরা যেন মাক্স পরিধান করে ও খাদ্যসামগ্রী সঙ্গে করে নিয়ে আসে।যাতে করে তাদের বন্দরের বাহিরে যেতে না হয়। এ বিষয়ে ভারতীয় ব্যাবসায়ী সংগঠনকে পত্র মারফত অবগত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।