অপরাধ ডেস্কঃ ৩৯ তম বিসিএসে ডাঃএকেএম.আব্দুল মোতাকাব্বির অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছেন। গত ৩০ এপ্রিল প্রকাশিত ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের ফল অনুযায়ী,তিনি
বিসিএস(স্বাস্থ্য) সহকারী সার্জন পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।
তিনি হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ব্রাহ্মনডুরা ইউনিয়নের পুটিয়া(ডাক্তার বাড়ি) গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হতে ২০১৭ সালে এমবিবিএস পাস করেন।
ডাঃ মোতাকাব্বির জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ,সিলেট থেকে ২০১১ সালে গোল্ডেন এ প্লাস ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয়, শাহ্জিবাজার থেকে ২০০৯ সালে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে উত্তীর্ণ হন। পরে ২০১১-১২ সেশনে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। তিনি ২০১৮ সালে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ইর্ন্টানি শেষ করেছেন। তিনি জানুয়ারি ২০২০ এ শিশু বিষয়ে এফসিপিএস পার্ট -১ ও কমপ্লিট করেছেন।ডাঃ মোতাকাব্বির এর বাবা মোঃ আব্দুল মালেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন, বর্তমানে তিনি অবসরে আছেন। ডাঃ মোতাকাব্বির ৫ ভাইবোনের মধ্যে ২য়। তার বড় বোন চুনারুঘাটের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।তার আরেক বোন ও সিলেট নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেছেন এ বছর। তার সবচেয়ে ছোট বোন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি জানান, তার আজকের এই অবদানের পেছনে সৃষ্টিকর্তার পর, তার বাবা মায়ের অক্লান্ত পরিশ্রম, ত্যাগ ও সদিচ্ছা ছিল সবচেয়ে বেশি। পাশাপাশি শিক্ষকদের সঠিক দিকনির্দেশনা , তার উপর ভরসা রাখা ও তার নিয়ামানুবর্তিতা ছিল তার প্রধান শক্তি । তার এই সাফল্যের পেছনে তার বড়বোন সবসময় পাশে থেকে সাহস ও শক্তি যুগিয়েছেন। আব্দুল মোতাকাব্বির আরো জানান, তিনি ভবিষ্যতে একজন মানবিক চিকিৎসক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে চান ও মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চান। তিনি তার গ্রামের মানুষ ও শাহজীবাজারের মানুষের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। তাই তিনি ছেলেবেলার স্মৃতিবিজরিত স্থানের মানুষের পাশে,বিপদেআপদে, সুখেদুঃখে সবসময় থাকতে চান। আব্দুল মোতাকাব্বির পড়াশোনার পাশাপাশি ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসেন, মনোবল ঠিক রাখার জন্য খেলাধুলার বিকল্প নেই, তিনি ওসমানী মেডিকেল কলেজ একাদশের একজন সদস্য ও ছিলেন। পরিশেষে পেশাগত জীবনে দায়িত্ব পালন করার জন্য তিনি সকলের দোয়া ও ভালবাসা কামনা করছেন।