ইতালিতে সামাজিক দুরত্ব ও সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে চলার অনুমতি সাপেক্ষে লকডাউন শিতিল।

প্রকাশিত: ৪:০৬ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৮, ২০২০

আবুল কালাম, ইতালি প্রতিনিধিঃ করোনা যুদ্ধে চলমান মহামারির ভয়ংকর চল্লিশ দিন অতিবাহিত করে অবশেষে হাস্যোজ্জ্বল ইতালির প্রধানমন্ত্রী প্রফেসর জুসেপ্পে কন্তে। সর্বোচ্চ সতর্কতা বহাল রেখেই ৪ মে থেকে পর্যায়ক্রমে লকডাউন শিথিল করা সংক্রান্ত নতুন অধ্যাদেশ অনুমোদন করেছে তাঁর নেতৃত্বাধীন ইতালীয় মন্ত্রীসভা। এ উপলক্ষে রবিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ‘কিজি প্যালেস’ থেকে ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী প্রফেসর জুসেপ্পে কন্তে বলেন,”লকডাউন শিথিল হলেও আমাদের চলাফেরা ও আচার আচরণের উপর পুরোপুরি নির্ভর করছে দেশের ভবিষ্যৎ। আর যাই করুন কাছাকাছি আসা যাবে না, এক মিটারের দূরত্ব বহাল রাখতে হবে। ভাইরাসের সাথে যেহেতু সহাবস্থান করতে হবে তাই সতর্কতা অবলম্বন করা না হলে পরিস্থিতির আবার অবনতি ঘটবে, প্রাণহানি বাড়বে এবং আমাদের অর্থনীতির অপূরণীয় ক্ষতি হবে। যদি ইতালিকে ভালোবেসে থাকেন তবে ৪ মে’র পরেও স্যোশাল ডিস্টেন্সিং মেনে চলুন”।

নতুন অধ্যাদেশ মোতাবেক ৪ মে থেকে দেশজুড়ে সকল শিল্পকারখানা, বাগানবাড়ি ও পাবলিক পার্ক খুলবে, ৪ মে থেকে যে কেউ তার আত্মীয় স্বজনদের বাসায় যাওয়া আসা শুরু করতে পারবেন হ্যান্ড গ্লাভস ও সেফটি মাস্ক পরে ঐ একই দূরত্ব বজায় রেখে। প্রতিটি সার্জিক্যাল মাস্কের দাম ৫০ সেন্ট নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে অধ্যাদেশে।

বার এবং রেস্তোরাঁও ৪ মে থেকে খোলা যাবে তবে কাস্টমাররা অবশ্যই একজন করে ভেতরে প্রবেশ করে প্রয়োজনীয় যা নেয়ার নিয়ে তা নিজ নিজ বাড়িতে গিয়ে খাবেন বা পান করবেন। ১ জুনের আগ পর্যন্ত কোন অবস্থাতেই বার বা রেস্তোরাঁর ভেতরে খাবার গ্রহণ করা যাবে না। কলকারখানা কিংবা বার-রেস্টুরেন্ট সর্বত্রই অনুসরণ করতে হবে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত নিরাপত্তা বিধিমালা বা সিকিউরিটি প্রটোকল। এটি মানা না হলে বড় অংকের জরিমানা অবধারিত।

প্রধানমন্ত্রী প্রফেসর জুসেপ্পে কন্তে জানান,”১৮ মে থেকে খোলা যাবে সব ধরনের দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। যে কোন প্রদর্শনী, জাদুঘর এবং দলগত অনুশীলন একই দিন থেকে চালু হবে বা শুরু করা যাবে। যারা ইতালিতে ফিরবেন তারা অবশ্য ৪ মে থেকেই এই সুযোগ পাবেন। তবে নিজ নিজ বাসাবাড়ি থেকে যে কোন প্রয়োজনে বাইরে বের হবার ক্ষেত্রে সেল্ফ ডিক্লেয়ারেশন ফরম পূরণ করে সাথে রাখার বিধান বহাল থাকবে। ১ জুন থেকে খুলবে সেলুন, জিমনেসিয়াম ও ফিটনেস সেন্টার সমূহ”।

সকল স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সেপ্টেম্বরে খুলবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রফেসর জুসেপ্পে কন্তে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,”যে কোন অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত যথারীতি সংসদে আলোচনা ও অনুমোদন সাপেক্ষে নেয়া হবে”। নতুন অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, ৪ মে থেকে মারা যাওয়া যে কোন ব্যাক্তির শেষকৃত্য আউটডোরে আয়োজন করা যাবে। হ্যান্ড গ্লাভস ও সেফটি মাস্ক পরে সর্বোচ্চ ১৫ জন এতে অংশ নিতে পারবেন। তবে বড় দরনের জনসমাগম করে প্রার্থনামূলক অথবা যেকোন ধরনের আচার অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।




error: Content is protected !!