মালয়েশিয়ায় পাসপোর্ট জালিয়াতি  সিন্ডিকেটের  ৩ বাংলাদেশী গ্রেপ্তার 

প্রকাশিত: ৯:১৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২২, ২০২৩
হাবিব হাসান মালয়েশিয়া প্রতিনিধি,
মালয়েশিয়ায় নকল পাসপোর্ট ও ভিসা তৈরি অভিযোগে তিন বাংলাদেশী প্রবাসিকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ, ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতো’ রুসলিন বিন জুসোহ, মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের প্রেস কনফারেন্সে জানান ‘অপস ভিস্তা মুতিয়ারা’ নামে পরিচিত একটি বিশেষ অপারেশনে বাংলাদেশি প্রবাসি দ্বারা পরিচালিত একটি নকল পাসপোর্ট জালিয়াতি সিন্ডিকেট কে গ্রেফতার করা হয়
 অভিযানে মালয়েশিয়ার গোয়েন্দা ও বিশেষ অপারেশন বিভাগ, ইমিগ্রেশন সদর দপ্তর পুত্রজায়া থেকে বিভিন্ন পদের ইমিগ্রেশন অফিসারদের একটি দল যৌথ ভাবে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় মহাপরিচালক আরো বলেন, স্থানীয় নাগরিকদের অভিযোগের ভিত্তিতে এবং জিআইএম-এর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়। গত দুই সাপ্তাহ ধরে গোয়েন্দা বিভাগের একটি টিম নজরদারি করছিল। গ্রেপ্তার বাংলাদেশীদের শুধুমাত্র একজনের কাছে বৈধ অস্থায়ী কাজের ভিজিট পাস (পিএলকেএস) রয়েছে এবং অন্যজনের কাছে কোনো বৈধ নথি নেই। অভিযানের ঘটনাস্থল থেকে মোট ৬১ কপি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, ৪৩ কপি ইন্দোনেশিয়ান পাসপোর্ট এবং ১ কপি মিয়ানমারের পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয় যা নকল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। বিভিন্ন দেশের মোট ২২১ টি পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রথম অভিযানে গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তিতে পরবর্তীতে জালান কেপং-এ চলে যায় এবং পাসপোর্ট জালিয়াতির মূল মাস্টারমাইন্ড, ‘শিমুল’ নামে পরিচিত জাল পাসপোর্টের নির্মাতার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একজন ৩৩ বছর বয়সী বাংলাদেশীকে গ্রেফতার করে। যার পিএলকেএস / ভিসার মেয়াদ রয়েছে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।
এই সিন্ডিকেটের কাজ হল বাংলাদেশ, মায়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, নেপাল ও পাকিস্তানের সহ বিভিন্ন দেশের বিদেশিদের টার্গেট করা যাদের বৈধ ভিসা ও পাসপোর্ট নেই। সিন্ডিকেট দলটি যাদের পাসপোর্ট সমস্যা আছে তাদের খুঁজে বের করে তাদের কাছে গিয়ে সিন্ডিকেট দ্বারা প্রদত্ত পরিসেবা গুলি অফার করে।
ধারণা করা হচ্ছে এই সিন্ডিকেটটি এক বছর ধরে কাজ করছে এবং পাসপোর্টের একটি কপির জন্য প্রায় মালয়েশিয়ার রিঙ্গিত ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (১৩-১৮ হাজার টাকা চার্জ করে।
সিন্ডিকেট গ্রাহকের চাহিদার উপর ভিত্তি করে দিনে পাঁচ থেকে ১০ কপি নকল পাসপোর্ট তৈরি করতে সক্ষম বলে মনে করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার কৃত সকলকে অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ এর অধীনে অপরাধ করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে এবং আরও তদন্তের জন্য এবং পরবর্তী আইনি পদক্ষেপে গ্রহণের জন্য পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন ডিপোতে পাঠানো হয়েছে



error: Content is protected !!