তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, গোলযোগপূর্ণ লিবিয়ার জাতীয় সরকারকে সমর্থন দেয়ার জন্য দেশটিতে সেনা মোতায়েন শুরু করেছে আঙ্কারা। তিনি জানান, সম্প্রতি লিবিয়া সরকারের সঙ্গে যে সমুদ্রসীমা চিহ্নিতকরুণ ও নিরাপত্তা সামরিক চুক্তি সই করা হয়েছে তার আওতায় তুর্কি সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে।
এরদোগান বলেন, সমুদ্রসীমা চিহ্নিত করার জন্য লিবিয়া সরকারের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। দুই দেশের অনুমোদন ছাড়া লিবিয়া ও তুরস্কের উপকূলবর্তী এলাকায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান এবং পাইপলাইন নির্মাণের কাজ করা সম্ভব হবে না।
বৃহস্পতিবার রাজধানী আংকারায় তিনি জানান, চলতি বছরে ওই এলাকায় তেল গ্যাসের অনুসন্ধান শুরু হবে এজন্য শিগগিরই একটি গবেষণা জাহাজ পাঠানো হবে। এছাড়া, লিবিয়ার বৈধ সরকারকে টিকিয়ে রাখা এবং সেখানকার স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য তুরস্ক লিবিয়ায় সেনা পাঠাচ্ছে।
এর মাত্র দু দিন আগে লিবিয়ার ত্রিপোলিভিত্তিক জাতীয় সরকারের প্রধান ফাইয়াজ আল-সেরাজ এবং তবরুকভিত্তিক বিদ্রোহী সরকারের নেতৃত্বদানকারী খলিফা হাফতার রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় সরাসরি আলোচনায় বসেন। কিন্তু যুদ্ধবিরতি চুক্তি ছাড়াই হাফতার দেশে ফিরে যান। রাশিয়া এবং তুরস্ক ওই আলোচনার ব্যবস্থা করেছিল।
হাফতার দাবি করেছেন, লিবিয়ার সেনাদের অনেক দাবি-দাওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির খসড়ায় স্থান পায়নি বলে তিনি তাতে সই করেননি।
তবে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেছেন, হাফতার যদি নতুন করে লিবিয়া সরকারের বিরুদ্ধে হামলা শুরু করে তাহলে তাকে উচিত শিক্ষা দেয়া হবে। পার্সটুডে।