আব্দুল হান্নান জুন্নুন, আয়ারল্যান্ড:
আয়ারল্যান্ডের সুহাদা ফাউন্ডেশনে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে লাইলাতুল কদর পালিত হয়েছে। আয়রল্যান্ডের মুসলমানরা নিজেদের গুনাহ মাফ এবং বেশি সওয়াব হাসিলের লক্ষ্যে নফল ইবাদত, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আসকার এর মধ্য দিয়ে পবিত্র এ রজনী উৎযাপন করেন। লাইলাতুল কদরের রাত বিশ্ব মুসলিম সমপ্রদায়ের কাছে এক অতি গুরুত্বপূর্ণ রাত। লাইলাতুল কদর অর্থ মহিমান্বিত রজনী বা মর্যদাসম্পন্ন রাত। পবিত্র এ রাতেই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর ওপর নাজিল হয়েছিল পবিত্র গ্রন্থ আল-কুরআন। পবিত্র কুরআনে এ রাতকে হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। নবী করীম (সাঃ) এ রাতে নিজে ইবাদতে মশগুল থাকতেন এবং তাঁর সাহাবীদেরও বেশি বেশি ইবাদত করার নির্দেশ দিতেন। রমজান মাসের ২১ থেকে ২৭ তারিখের মধ্যে বেজোড় সংখ্যার রাতেই পবিত্র লাইলাতুল কদর। তবে ২৭ রমজান অর্থাৎ ২৬ রমজান দিবাগত রাতকেই কদরের রাত হিসেবে ধরে নেয়া হয়েছে। পবিত্র কুরআন ও হাদিসে লাইলাতুল কদরের মহিমার কথা বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। কুরআনে বর্ণিত আছে যে, এ রাতে আল্লাহ স্বয়ং তাঁর নেক বান্দাদের কাছাকাছি চলে আসেন। যারা তাঁর ইবাদতে মশগুল থাকেন, তিনি তাদের ওপর খাস রহমত নাজিল করেন। পবিত্র এ রাতে আল্লাহ রাব্বুল আল-আমীনের দরবারে কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করলে তা মঞ্জুর হয়। বান্দা যদি তার ভুল-ত্রুটির জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তাহলে তিনি অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেন। বর্তমান মহামারির উপর গুরুত্ব আরোপ করে দোয়া করা হয়।