ধনকুবের বেজোসের ফোন হ্যাকের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান সৌদির

প্রকাশিত: ১২:২৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২২, ২০২০

সৌদি আরবের সিংহাসনের উত্তরসূরি মোহাম্মদ বিন সালমান মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টের স্বত্বাধিকারী জেফ বেজোসের মোবাইল ফোন হ্যাক করেছেন বলে যে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সৌদি দূতাবাস।

২০১৮ সালে এই হ্যাকিংয়ের ঘটনায় আমজানের এ প্রতিষ্ঠাতার ব্যক্তিগত অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও তথ্য হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। তার মালিকানাধীন ওয়াশিংটন পোস্টে প্রদায়ক হিসেবে কাজ করতেন নিহত সাংবাদিক জামাল খাসোগি।

গত বছরের অক্টোবরে ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে মরদেহ রাসায়নিক দিয়ে গলিয়ে ফেলার অভিযোগ রয়েছে।

টুইটারে সৌদি দূতাবাস জানায, জেফ বেজোসের ফোন হ্যাংকিংয়ের ঘটনায় সৌদি আরবকে দায়ী করে সাম্প্রতিক প্রকাশিত গণমাধ্যমে খবর উদ্ভট। যাতে সব ঘটনা প্রকাশিত হয়, সে জন্য আমরা একটি তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।

গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের হোয়াটসঅ্যাপের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে পাঠানো একটি বার্তা গ্রহণের পর ২০১৮ সালে আমাজনের ধনকুবের জেফ বেজোসের মোবাইল ফোন হ্যাকড হয়েছিল।

যুবরাজের ব্যবহার করা নম্বর থেকে পাঠানো গোপন বার্তায় ক্ষতিকর নথি ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেই নথি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির ফোনে ঢুকে পড়েছে। একটি ডিজিটাল ফরেনসিক বিশ্লেষণ থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সৌদি সিংহাসনের উত্তরসূরির অ্যাকাউন্ট থেকে পাঠানো ভাইরাস আক্রান্ত ভিডিও ফাইল থেকেই মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টের মালিক জেফ বেজোসের মোবাইল হ্যাকড হয়েছিল। এমনটিই সর্বোচ্চ সম্ভাব্য বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।

গত বছরের ১ মে ওই সময় দুই ব্যক্তির মধ্যে সম্ভাব্য বন্ধুত্বপূর্ণ বার্তা বিনিময় ঘটেছিল। তখন এই অবাঞ্ছিত বার্তাটি পাঠানো হয়েছিল বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাতে গার্ডিয়ান জানিয়েছে।

এতে কয়েক ঘণ্টার ভেতরে ব্যাপকসংখ্যক উপাত্ত তার মোবাইল থেকে অন্যত্র বের হয়ে যায়। তবে কী ধরনের তথ্য চুরি হয়েছে এবং কীভাবে সেগুলো ব্যবহার করা হয়েছে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারেনি ব্রিটিশ দৈনিকটি।

খবরে বলা হয়েছে, আমাজনের প্রতিষ্ঠাতাকে লক্ষ্যবস্তু বানাতে সৌদি আরবের ভবিষ্যৎ বাদশাহর সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে ওয়াল স্ট্রিট থেকে সিলিকন ভ্যালিতে বেদনাদায়ক এক আবহ ছড়িয়ে পড়তে পারে।

এ ছাড়া সৌদি আরব পশ্চিমা বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণে এমবিএস নামে পরিচিত এ যুবরাজ যেসব উদ্যোগ নিয়েছেন, তাতেও ভাটা পড়ে যেতে পারে।

বেজোসের ব্যক্তিগত জীবনের বিস্তারিত তথ্য কীভাবে মার্কিন ট্যাবলয়েড ন্যাশনাল এনকোয়ারার প্রকাশ করেছে, সেই পরিস্থিতি ঘিরে সৌদি আরবকে নিয়ে কঠিন প্রশ্ন তৈরি করে দিয়েছে নতুন এই তথ্যফাঁস। ৯ মাস আগে ট্যাবলয়েডটির খবরে এই ধনকুবেরের ব্যক্তিগত বিষয়আশয় ছাড়াও তাদের বার্তা আদান-প্রদানও ছাপা হয়েছিল।




error: Content is protected !!